ভিড় ও ব্যস্ততা দর্জির দোকানে

ইকবাল হোসেন জীবন, মিরসরাই প্রতিনিধি: মেঝেতে কাপড়ের স্তূপ। ডান-বায়ের দেয়ালেও ঝুলছে নানা রঙ ও নকশার বানানো পোশাক। সেলাই মেশিনের একটানা খটখট আওয়াজ চলছে। এর মধ্যেই নেওয়া হচ্ছে নতুন পোশাকের ফরমায়েশ। একইসঙ্গে চলছে মাপ অনুয়ায়ী কাপড় কাটার কাজও।

মিরসরাইয়ে মিঠাছরা বেশ কয়েকটি দর্জির দোকানে ঘুরে এমন ব্যস্ততা দেখা গেছে।

ক্রেতারা জানান, রমজানের ২১ দিন পেরিয়ে গেলো। আর ০৯ দিন (প্রায়) পরেই ঈদুল ফিতর। হাতে আর তেমন সময় নেই। যারা তৈরি পোশাক (রেডিমেড) পরতে পছন্দ করেন না বা নিজের পছন্দমতো মাপে ও ডিজাইনে পরতে অভ্যস্ত, তারা এখন ভিড় করছেন দর্জির দোকানগুলোতে। তাই নগরের বিভিন্ন দর্জির দোকানে এখন ভীষণ ব্যস্ততা।

দোকানিরা জানালেন, এখন ব্যস্ততাটা একটু বেশিই। তবে এ ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজান মাস শুরুর পর থেকেই। শুরুতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করতে হতো, আর এখন সকাল থেকে গভীর রাত অবধি কাজ করতে হচ্ছে। তারা আরও জানান, পরিশ্রম একটু বেশি হচ্ছে, তবুও তারা খুশি। কারণ, ঈদের মৌসুমে বাড়তি কাজের অর্ডার হয়। এতে বাড়তি আয়ও করা যায়।

আরবিট কমপ্লেক্স,শাহাজাহান সুপার মার্কেটের পূর্ব পার্শ্বে মিঠাছরা বাজারের আল মদিনা টেইলার্স এর মালিক জানান,আমরা আধুনিক ডিজাইনের রুচিসম্মত পোশাক তৈরির নির্ভরযোগ্য আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা দেশী বিদেশী শার্ট পিচ,প্যান্ট পিচ,পাঞ্জাবী ও বোরকার কাপড় বিক্রয় করি। এবারের ঈদে প্রতিটি প্যান্টের জন্য ৪০০ টাকা, শার্টে ৩০০ টাকা, পাঞ্জাবিতে ৪০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত মজুরি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর