বাকৃবি উপাচার্য প্রার্থী যাঁরা

রাফী উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) উপাচর্যের ৪ বছরের মেয়াদকাল শেষ হবে আজ (বৃহস্পতিবার)। পরবর্তী উপাচার্য কে হবে তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। পরবর্তী উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৪ মে চার বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান পশুপালন অনুষদের পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এ বছরের ২৩ মে এই উপাচার্যের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে। বিগত চার বছরে উপাচার্যের বিরুদ্ধে তেমন কোনো অনিয়ম ও দুনীর্তির অভিযোগ না থাকলেও তার মেয়াদ কালের শেষ পর্যায়ে এসে অনুষদপ্রীতি, কিছু শিক্ষকদের অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান, নিয়ম বহির্ভূত মৌসুমী শ্রমিক নিয়োগ সহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে অনেকেই এগিয়ে আছেন। তাদের মধ্যে আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৌলিতত্ত্ব ও উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস, প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি, একোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান এর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন। শিক্ষক সমিতির বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান এর পূর্বে আরও একবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা কমিটির কো-অর্ডিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি চার বছর মেয়াদে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) উপার্চায ও বাকৃবির শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক ড. মো. আহসান বিন হাবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক, প্রক্টর, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ, অওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সহ-সভাপতি ও প্রকৃত আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠনের দাবিদার নীলদলের প্রতিষ্ঠাতা মেম্বার সেক্রেটারি ও সভাপতি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও উপাচার্য হতে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি ও পোল্ট্রিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দদাস চৌধুরী, কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের অধ্যাপক ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) সাবেক পরিচালক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম, বাকৃবি রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) বর্তমান পরিচালক এবং পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এম.এ.এম. ইয়াহিয়া খন্দকার, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন চৌধুরী এবং তরুণ অধ্যাপকদের মধ্যে ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে.এম জাকির হোসেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ বিষয়ে বাকৃবি গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা, গবেষণা, আবাসিক হলের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা করবে এমন ব্যক্তিকেই আমরা উপাচার্য হিসেবে চাই। এছাড়া একনেকে পাশকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৬০ কোটি টাকার বাজেট যেন যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন হয় সেই দিকেও যেনো পরবর্তী উপাচার্যের নজর থাকে। সর্বোপরি আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণকারী ব্যক্তি যেনো উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান সেই আশা করছি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর