প্রতিবন্ধি শিশু ধর্ষণ, ইজ্জতের মূল্য ১ লাখ টাকা

এম আজাদ হোসেন, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের ঘিওরে হিজুলিয়া গ্রামে দশ বছরের এক মানসিক প্রতিবন্ধি শিশুকে ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ততপর হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী মহল।

গ্রাম্য শালিসের নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার একটি কৌশল তৈরি করে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ধর্ষককে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা হিজুলিয়া গ্রামের পশ্চিম পাড়ার মোঃ লালন মিয়ার ২য় শ্রেণীতে পড়ুয়া প্রতিবন্ধি শিশু (১০)।

ঘটনাটি সর্বত্রই চাঞ্চল্যেও সৃষ্ঠি হয়েছে। গত ২০ মে সোমবার রাতে ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে ঘিওর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা থেকে চেলে যাবার বিভিন্ন ধরনের হুমুকি দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। ফলে নিরাপত্তার অভাবে ভুগছে অসহায় পরিবারটি।

থানা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত (১২মে) হিজুলিয়া গ্রামের নির্যাতিতা শিশুটি ফুলহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার দিন সকালে শিশুটি প্রতিদিনের মতো তার বাড়ির পাশে ছাগলের বাচ্চা আনতে গেলে এমন সময় একই গ্রামের বেলাল মিয়ার ছেলে দুলাল রবি ফেলু(৪২) কৌশলে ফুসলিয়ে তার ভাই আগর আলীর বাড়িতে চার চালা টিনের ঘরে তাকে নিয়ে যায়।

শিশুটি ডাকচিৎকার করিতে চাইলে ফেলু মুখ ছাপিয়া ধরে উলঙ্গ করে খাটের উপর নিয়ে এবং ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে হাত পাঁ বেধে জোর পূর্বক ধর্ষন করতে থাকে। শিশুটির মা অনেক খোজা খুজির এক পর্যায়ে ফেলুর বাড়িতে এসে তার মেয়েকে ডাকাডাকি করলে প্রতিবন্ধি শিশুটি ঘরের দরজা খুলে দেয় এবং কান্না কাটি করে।

তার মেয়েকে কান্নাকাটি করার কারন জিজ্ঞাসা করলে সম্পূর্ণ ঘটনা খুলে বলে। তার মা চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে ধর্ষক সে খাটে ঘুমিয়ে পরার ভাং ধরে। পরে দুলাল রবি ফেলু ঘটনার স্থান থেকে পালিয়ে যায়। গত (১৪ মে) ঘটনাটি ধামা চাপা দিতে বাকাবিল্লা ওরফে বাকা মিয়ার বাড়িতে গোপনে এক গ্রাম্য শালিসের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রমজান আলী ও বাবু মল্লিকের নেতৃত্বে তোবারক হোসেন শিমুসহ ৮ সদস্যের একটি জুরি বোর্ড গঠন করে ধর্ষককের অনুপুস্থিাতিতে ১ লাখ ১০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিবন্ধি শিশুটির পরিবারকে মাত্র ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। বাকি টাকা ভাগা ভাগি করে নেয় জুরি বোর্ডের সকল সদস্যরা এবং স্থানীয় কথিত সাংবাদিক নামধারী ব্যক্তি।

শিশুটির মা রেখা আক্তার জানান, আমার অবুঝ শিশুটির উপর যে নরপিশাছ শারীরিক নির্যাতন করেছে আমি তার ফাসিঁ দাবি করছি।

ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, এ ব্যাপারে ঘিওর থানায় ধর্ষিতার মা বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে শিশুটিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে মেডিকেল পরিক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

দ্রুত আসামীদের গ্রেফতারে জোর তৎপরতা চালানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তাদের বিরেেদ্ধ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর