শেরপুরে ব্যক্তি মালিকানা জমিতে স্কুলের ভবন নির্মাণের অভিযোগ

তারিকুল ইসলাম, শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুর জেলার সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মুন্সীরচর গ্রামের শতবর্ষী শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিনের পৈত্রিক (সম্পত্তি) জমিতে অবৈধভাবে মতিজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শতবর্ষী অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিন শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার মুন্সীরচর গ্রামের হরিণধরা মৌজার সেঃ মেঃ দাগ নং ৩৬২১ জমিটি অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিনের নিজস্ব সম্পত্তি। এদিকে ওই দাগের জমি মুন্সীরচর মতিজাহান উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন হওয়ায় শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিন এবং তার সন্তানদের অনুপস্থিতির সুযোগে এবং না জানিয়ে বা অনুমতি না নিয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ বেআইনী ও বিনা অনুমতিতে সেখানে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরে জমির মালিক টের পেয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অপরদিকে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান, মুন্সীরচর মতিজাহান স্কুলের নামে দলিল অনুযায়ী জমি বর্তমান স্কুল ভবনের বাহিরে এবং স্কুল থেকে অনেক দুরে মাঠখলা নামক একটি জায়গায়। এছাড়াও মাঠখলায় স্কুলের নামের জমিতে কতিপয় ব্যক্তি বেদখল করে সেখানে মৎস্য খামার এবং বাড়ীঘর নির্মাণ করে দখল করে আছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ মতিজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে মুন্সীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিতে।

শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিনের এবং তার সন্তানদের অভিযোগ মুন্সীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণে ইতিপূর্বে তারা কিছুজমি দান করেছেন। এবার তাদের না জানিয়ে তাদের জমিতে মতিজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করায় ক্ষুব্ধ প্রকাশ করেছেন তারা।

এব্যাপারে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মুন্সীরচর গ্রামের শতবর্ষী অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ সিরাজ উদ্দিন কর্তৃক অভিযোগের বিষয়টি অবগত রয়েছেন। এছাড়াও মুন্সীরচর গ্রামের মতিজাহান স্কুলের নামে যদি জমি না থাকে এবং কেউ স্কুলের নামে জমি লিখে না দিয়ে থাকে, তাহলে ওই ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়া হবে এবং বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিবেন।

এদিকে শিক্ষক সিরাজ উদ্দিনের ব্যক্তি মালিকানা জমিতে অবৈধভাবে পাকা বিল্ডিং নির্মাণের বিষয়ে মুন্সীরচর মতিজাহান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ খোরশেদুজ্জামানের সাথে তার ব্যবহৃত ০১৭১২০৬০৩২৭ মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এঘটনায় ভুক্তভোগী শতবর্ষী শিক্ষক সিরাজ উদ্দিন ও তার সন্তানেরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর