সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানকে সংবর্ধনা

“সাতক্ষীরা পুরাতন আইনজীবী ভবনের জায়গা নিয়ে সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে মর্মে আমি জেনেছি। আইনজীবী সমিতির জায়গা ও আদালতের জায়গা অন্যরা দখল করে। আমরা অন্যের জায়গা দখল করতে পারি না। তাই আইনজীবী সমিতির যতটুকু জায়গা আছে তা ধরে রাখতে সব ধরণের সহায়তা দেওয়া হবে।”

সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনের সম্মেলন কক্ষে জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ও সরকারি কুশোলীদের আয়োজনে সরকারি কুশোলী সরকার জামিনি সরকারের সভাপতিত্বে নবাগত জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, জুড়িশিয়াল কোর্ট ও জজ কোর্টের মধ্যে যাতায়াতের জন্য একটি প্রাচীর বড় সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে শুধুমাত্র আইনজীবীরা সমস্যায় পড়ছে না, পড়ছে বিচারপ্রার্থীরাও। সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবার মান উন্নত করে জনগনের সঙ্গে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য জনগনের প্রত্যাশা অনুযায়ি কাজ করতে হবে। কিন্তু সাজা পেলে বা কে জামিন পেলো এটা কোন বিষয় নয়, ন্যায় বিচারছ যেন দন্ডিতদেরও হৃদয়ে ছুঁয়ে যায়।

মানুষের ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকারকে পূর্ণ মর্যাদা দিতে হবে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি বলেন, বিচার করলে হবে না, ন্যায় বিচার দেখাতে হবে। আমাদের কাজ ও চলাফেরার মাধ্যমে সারা জেলার মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। সত্য ও ন্যায়ের পথে চলতে হবে। বিচার বিভাগকে সকলের চেষ্টায় মজবুত করতে হবে।
দূর্ণীতিতে প্রতি বছর বাংলাদেশের গ্রেড পরিবর্তণ হয়ে উল্লেখ করে প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশ দূর্ণীতিতে এমন একটা জায়গায় পৌঁছাচে যে, পৃথিবীর দূর্ণীতিগ্রস্থ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। তাই দূর্ণীতিকে নিয়ন্ত্রণ পর্যায়ে এনে দূর্ণীতিমুক্ত ঘোষণা করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। ১৯৯৫ সালের ২০ নভেম্বর থেকে ১৯৯৯ সালের ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরায় সহকারি জজ হিসেবে কাজ করার কথা স্মরণ করে প্রধান অতিথি বলেন, পৌনে চার বছরের মধ্য সোয়া তিন বছর এখানে কাজ করার পর তিনি বিয়ে করেন।

সংবর্ধনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্যে দেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মোস্তফা পাভেল রায়হান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম, বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহার, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. তপন কুমার দাস, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরল হায়দার বাবু, অ্যাড. কুদরত ই মজিদ, অ্যাড. ওকালত আলী, অ্যাড. ওসমান আলী প্রমুখ।
বিচারিক হাকিম ইয়াসমিন নাহার নবাগত জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের সাতক্ষীরাবাসির উদ্দেশ্য লেখা স্বরচিত কবিতা “ভালবাসতে চাই” আবৃতি করেন। সভায় প্রধান অতিথিতে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন অ্যাড. তামিম আহম্মেদ সোহাগ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর