পেকুয়ায় বহু মামলার আসামী আনছার বাহিনী কর্তৃক বাদীকে হুমকি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

নিজস্ব প্রতিনিধি: কক্সবাজারের পেকুয়ায় বহু মামলার জেল ফেরত আসামী মো: আনছার কর্তৃক মামলার বাদীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণের হত্যাসহ লাশ গুম করবে বলেও হুমকি প্রদর্শন করেছেন ওই সন্ত্রাসী।

এমন অভিযোগ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম নবীর স্ত্রী ১৮/২০১৯ নং মামলার বাদী রহিমা বেগম। এমনকি ওই মামলার আসামীদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার না করায় বাদী আরো বেশি আতংকিত হয়ে পড়েছে। আসামীরা প্রকাশ্যে থাকলেও গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মামলার বাদী। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছেন।

বাদী রহিমা বেগম বলেন, র‌্যাবের হাতে অস্ত্রসহ আটক বহু মামলার আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী আনছার উদ্দিনের নেতৃত্বে মামলার ২৪জন আসামী সংঘবদ্ধ হয়ে আমার ভাই বদিউল আলমকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম করে। এরপর বসতবাড়িতে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। গত ২৫ এপ্রিল রাজাখালীর বামুলাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ২৬এপ্রিল ২৪জনকে বিবাদী করে পেকুয়া থানায় মামলা রুজু করি।

মামলা করায় আমার ভাগিনা আজম উদ্দিনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার চেষ্টা চালায় তারা। সেটিই মামলা রুজু হয়। সেই মামলাও আনছার উদ্দিন ১নং আসামী। দু’টি মামলার কোন আসামী আদালত থেকে জামিনও নেননি আটকও করেনি থানা পুলিশ। পুলিশ তাদেরকে আটক না করায় বেপরোয়া হয়ে ওঠে আনছার ও কাছিম আলীসহ আরো কয়েকজন। ঘর থেকে বের হতে পারিনা তাদের জন্য। তাদের লোক দিয়ে হুমকি দিতে থাকে। সর্বশেষ সোমবার তারা সংঘবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। তখন আনছার বলে, মামলা দু’টি প্রত্যাহার করার জন্য। প্রত্যাহার না করলে অপহরণ পূর্বক প্রাণে হত্যাসহ লাশ গুম করার মত হুমকি প্রদর্শন করে।

ভিকটিম বদি আলম ও আজম উদ্দিন বলেন, আমাদেরকে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে আহত করেছিল আনছার উদ্দিন সংঘবদ্ধ আসামীরা। তাদের বিরুদ্ধে জি.আর ২০৯/১৮, জি.আর ১৯৯/১৮, জি.আর ১৩৯/১৭, জি.আর ৬৭/১৮, জি.আর ২৩০/১৪, জি.আর ৫২/১৬, জি.আর ১৫১/১৭, জি.আর ৭৫/১৪, জি.আর ২৩৫/১৫, জি.আর ৩৩/১০, জি.আর ৫১/১৬, সি.আর ১২৩/১৮, সি.আর ২৬০/১৫, সি.আর ২৬৭/১৭নং মামলা চলমান রয়েছে। র‌্যাবও অস্ত্রসহ আটক করেছিল। দীর্ঘদিন জেল কেটে বের হয়েছে।

এরপর আমাদের উপর হামলা ও গুলিবর্ষণ করে আহত করে। দীর্ঘদিন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর এখন সুস্থ হয়েছি মাত্র। এরই মাঝে তার হুমকিতে আমরা আতংকে দিনাপাত করছি। তাদেরকে দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর