শৈলকুপায় হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে বাড়িঘর ভাংচুর

শৈলকুপায় রতন মন্ডল হত্যাকান্ডকে পুঁজি করে একটি মহলের ইন্ধনে চলছে বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাটের মহা-উৎসব, আসামীপক্ষের পুরুষ শূন্য গ্রাম, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পারিবারিক তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৭ এপ্রিল ভোর রাতে চাচাতো ভায়ের বাথরুমর উপর ইপিল ইপিল গাছের ডাল পড়াকে কেন্দ্র করে পারিবারিক সংঘর্ষের ঘটনায় রতন মন্ডল নামে একজন নিহত হয়। এঘটনায় আহত হয়েছিল আরও ৬ জন। নিহত রতন মন্ডল উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের রাহান মন্ডলের ছেলে। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ২৭ জনকে আসামী করে শৈলকুপা থানায় মামলা দায়ের করে তার পিতা রাহান মন্ডল।

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল ভোর রাতে তাদের প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীর মাঝে গাছের ডাল অপসারন নিয়ে সংঘর্ষ হয়। সুযোগ বুঝে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাতেই হত্যা মামলার ফাঁদে জড়ানো হয় বসন্তপুর গ্রামের ২৭ জনকে। প্রকৃতপক্ষে আসামীগণ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শিকার। অপরদিকে হত্যা মামলায় নিহত রতন মন্ডলের হামলাকারীরা মামলার বাইরে থেকে দুহাতে তালি বাজানোর ফলে সুধি সমাজে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এলাকাবাসী ও সুধীমহলের দাবী প্রকৃত সত্য জনসম্মুখে প্রকাশসহ হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। অপরদিকে আসামীরা এলাকা ছাড়া হওয়ার সুযোগ নিয়ে বাদীপক্ষের লোকজন রাতের আধারে লুটপাটের হরিলুট রাজ্যে পরিণত করেছে। মামলায় ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করায় গ্রেফতার আতংকে গ্রাম ছাড়া হয়েছে অনেকে। ভয়ে বাড়িছাড়া হয়েছে স্কুল কলেজে পড়ুয়া অনেক মেয়ে ও সাধারণ মানুষ।

কেউ কেউ ব্যক্তিগত চেষ্টায় ঘরের মালামাল রক্ষা করলেও মাঠে থাকা ক্ষেতের ফসল, গোয়ালের গরু ছাগল, হাঁস মুরগি, পুকুরের মাছ ও গাছ উজাড় করে নিয়ে যাচ্ছে সুবিধাবাদী একটি চক্র। এমনকি ওই গ্রামের কতিপয় আসামীদের ঘরে থাকা আসবাবপত্র ও বিল্ডিং ঘরের জানালা,দরজা ও কাচা ঘরের টিন খুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বলেন, যৌথ পারিবারিক জমাজমির বিরোধ সম্প্রতি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপে প্রকট আকার ধারণ করেছে। যতটুকু জানা গেছে গাছের ডাল সরানো নিয়ে একই পরিবারের স্বল্প কয়েক জন সংঘর্ষে লিপ্ত হলেও হত্যা মামলার আসামীর তালিকা অনেক লম্বা। তবে সুষ্ঠু তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর