সাতক্ষীরা ওয়াস ব্যবসায়ীদের পণ্য উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ

সাতক্ষীরা পৌরসভার ওয়াস ব্যবসায়ীদের পণ্য উন্নয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের শহীদ স.ম.আলাউদ্দিন মিলানয়তনে রবিবার দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন হোপ ফর দি পুওরেষ্টে’র টাউন কো-অর্ডিনেটর মৃনাল কুমার সরকার।

প্রশিক্ষণ প্রদান করেন অত্র সংস্হার সাতক্ষীরা ফিল্ড অফিসের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোছা. সেলিনা খাতুন ও মার্কেট ডেভেলপমেন্ট অফিসার মোঃ শরিফুল ইসলাম খান। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ওয়াস ব্যবসায়ীগণ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য উন্নয়ন (প্রোডাক্ট প্রোমাশন) সংক্রান্ত দক্ষতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণে যে সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। পণ্য উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য বর্ণনা তথা পণ্য উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ি পণ্য উৎপাদন ও তার উৎপাদিত পণ্য যথাযথ ভাবে বাজরাজাতকরণ করতে পারবে। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ি পণ্য উৎপাদন, প্রচারের মাধ্যমে ক্রেতাকে আকৃষ্ট করে পণ্য বিক্রয় করার প্রতি জোর প্রদান করা হয়।

ক্রেতাকে আকৃষ্ট করা, বিক্রয় বৃদ্ধি করা, জনগণের মাঝে সচতনতা বৃদ্ধি করা ও বাজারের প্রসার করা। ক্রেতা কেন্দ্রিক তথা বৃদ্ধ, শিশু ও প্রতিবন্ধিদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পণ্য ও ক্রেতা কেন্দ্রিক পণ্য উন্নয়নের পদ্ধতি সমুহ নিয়ে আলোচনা করা হয়। ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতার জন্য ভিন্ন ভিন্ন পণ্য উৎপাদন করার বিষয় আলোচনা করা হয়। জলবায়ু, দুর্যোগ ও পরিবেশসহনশীল পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরনের কৌশল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ব্যবসায়ীগণ তাদের স্ব স্ব ব্যবসাকে সফলতার সহিত পরিচালনা করতে পারবেন বলে হোপ ফর দি পুওরেষ্ট বিশ্বাস করেন। ব্যবসায়ী মো: কবীর হোসেন, মোঃ আওরঙ্গজেব, শেখ আহসান হাবীব, মোঃ আলাউদ্দিন, মোঃ আল আমিন, মোঃ আলফাজ উদ্দিন পিন্টু সহ মোট ২৪ জন ওয়াস ব্যবসায়ী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপণী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রদান করেন আশা’র জেলা ব্যবস্থাপক মোঃ শাহজাহান আলী।

স্যানিটেশন, পানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্যানিটারী ন্যাপকিন উৎপাদক উদ্যোক্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, এইচপি নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক দাতা সংস্থা সীমাভীর অর্থায়নে সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভায় ওয়াস বিষয়ক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো ওয়াস উদ্যোক্তা তৈরী এবং সফল ওয়াস ব্যবসায়ী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা যা প্রত্যক্ষভাবে এলাকার ওয়াস ব্যবস্থার মান বৃদ্ধি করবে যেটি বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০ অর্জনে অবদান রাখবে।