সন্দেহভাজন যুবককে পুলিশে দিলো তার পরিবার

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় আলামিন নামের সন্দেহভাজন এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে তার পরিবারের লোকজন। শনিবার রাতে স্থানীয় সাংসদ ও ইউপি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে আলামিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়।

আলামিন উপজেলার খালকুলা গ্রামের তহুরুজ্জামান ক্যাপ্টেনের ছেলে। উল্লেখ্য, গত ১০ মে শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কোলা পেতিপাড়ার দশম শ্রেনীর এক মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়। পাষন্ডরা তাকে রাতভর ধর্ষনের পর হাত পা বেধে ওই গ্রামের মাঠের একটি ধান ক্ষেতে ফেলে রেখে যায়। পরের দিন ভোরে মাঠে কাজ করতে এসে কৃষকেরা তাকে উদ্ধার করে।

ওই দিন দুপুরে ধর্ষিতার বাবা মেয়েকে নিয়ে কালীগঞ্জ থানাতে এসে খালকুলা গ্রামের মৃত আব্দুর রউফের ছেলে আলামিন হোসেনের নাম উল্লেখপূর্বক আরও ২ জনকে অজ্ঞাত করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে মুল আসামীরা পলাতক রয়েছে। পুলিশের হাতে তুলে দেয়া আলামিনের পরিবারের দাবি, সে এ কাজের সাথে জড়িত নয়। তারপরও ঘটনার আগে তার মোবাইল সেট দিয়ে ওই মেয়ের সাথে প্রধান আসামী কথা বলায় পুলিশ তাকেও সন্দেহ করে খুঁজছিল।

তাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আলামিনকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এমন ঘটনায় প্রকৃতপক্ষে যারা জড়িত তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। তবে নিরাপরাধ কাউকে জড়ানোটাও হবে দুঃখজনক ব্যাপার কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইউনুচ আলী জানান,এ মামলার মুল আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে। তবে পুলিশের চোখে সন্দেহভাজন আলামিন নামের এক যুবককে তার পরিবারের সহযোগীতায় আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর