জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী জিএম তুষার হোসেনের তিনটি আঙ্গুল কেটে নেয়ার ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসসহ সাত জনের নামে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
শনিবার রাতে আহত তুষারর চাচা আবু সিদ্দিক গাজী বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ ইতিমধ্যে এ মামলার অন্যতম আসামী রেজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, এ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লাল্টু।
আহত তুষারকে বর্তমান ঢাকার মোহাম্মদপুর আল-মানার নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছেন তারা বাবা মুনসুর গাজী। কলারায়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে এ মামলার অন্যতম আসামী রজাউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের চিরুনি অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে গত শনিবার দুপুরে কলারোয়া বিশ্বাস মার্কেটের সামনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্ব ৫/৭জন যুবক এলোপাতাড়িভাবে ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইলেক্ট্রনিক্স ব্যবসায়ী জিএম তুষারকে কুপিয়ে ৪টি আঙুল বিছিন্ন করে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাতক্ষীরা পর ঢাকার মোহাম্মদপুর আল-মানার নামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।