শেরপুরে ঝড়ে তছনছ ৩ শতাধিক বাড়িঘর,নিহত-১

বগুড়ার শেরপুরে হঠাৎ ঝড়ে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ৩ শতাধিক বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কৃষি ফসল, গাছপালা সহ বিদ্যুতের লাইনের খুঁটি তছনছ হয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এ সময় নিহত-১ জন সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত (১৭ মে) শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ ঝড় শুরু হয়। এ সময় ভবানীপুরে ইউনিয়নের পিরাইল বিশ্বা গ্রামের মৃত নিপেন মন্ডলের স্ত্রী জোৎনা রানী (৫৮) গাছের নিছে দাঁড়িয়ে পড়লে গাছের শাখা ভেঙ্গে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য শাহবন্দেগেী ইউনিয়নের হামছায়াপুর, শেরুয়া, কাঠালতোলা, বটতলা, আন্দিকুমড়া, মির্জাপুর ইউনিয়নের, মির্জাপুর বাজার, রাজবাড়ী, কাশিয়াবালা।

গাড়িদহ ইউনিয়নের কাফুরা, রনবীরবালা, ফুলবাড়ী, হামছায়াপুর,মহিপুর নতুনপাড়া, খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর, খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা, হুসনাবাদ, ঝাঁজর, খামারকান্দি, পৌরশহরের হাটখোলা, ঘোষপাড়া, উত্তরসাহাপাড়া, দক্ষিনসাহাপাড়া,স্যান্নালপাড়া, পৌরকাচারী, খানপুরের হোসনাবাদ, গোপালপুর এলাকা সহ শতাধিক গ্রামের তিনশতাধিক বাড়িঘর, কৃষি জমির সবজীর জানালা ও আবাদী ফসল, গাছপালা তছনছ হয়ে যায়, প্রচন্ড ঝড়ে বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভাংচুর ও লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওযার পাকা ধানের বড় ধরনের ক্ষতি হয়। তাছাড়া উপজেলার শেরুয়ার রুবি, মরজিনা, শাহআলম, ফাইমা, আন্দিকুমড়ার গ্রামের আলম, হাবিবুর, তোজাম, কাশিয়াবালা গ্রামের বালা রানী, রত্মা, কবিতা রাণী সহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

এই ঝড়ে উপজেলার আন্দিকুমড়া গ্রামের আলমের বাড়ি, কাফুরা গ্রামের উজ্জল, হামছায়াপুরের নজরুল ইলামের গুমাম, পাঠানতোলা মসজিদ, রওশনের বাড়ী, শেরুয়া ফরেষ্ট প্রায় ২০টি গাছ ও হাটখোলার পুরানো জামগাছ সহ বিভিন্ন এলাকার গাছপালা, শেরপুর-ধুনট সড়কের রনবীরবালা থেকে শুবলী পর্যন্ত শতাধিক গাছ উপরে তছনছ হয়ে যায়। সড়ক সচল করতে ঝড় পরবর্তী সময়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের শেরপুর ইউনিটের কর্মীরা গাছগুলো অপসারন করে।
ঝড়ে উপজেলার পাকাধান ও সবজির ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার কৃষি, পিডিবি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিসহ বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে গত (১৭ মে) শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে সবমিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন হয় বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ লিয়াকত আলী শেখ বলেন, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি সাধণ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা প্রনয়নের কাজ মাঠ পর্যায়ে শুরু করা হয়েছে। তবে সবমিলিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা যাচ্ছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর