সৌম্যর ঝড়ো শুরুর পর আউট তামিম-সাব্বির

যে কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে বার বার আক্ষেপের গল্পই লিখেছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে সেই গল্পটাকে নতুন করে লেখার অপেক্ষায় মাশরাফিরা। ওপেনার সৌম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোর বোর্ড প্রত্যাশামতো ছুটলেও অপরপ্রান্ত হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। ২৪ ওভারে ২১০ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৬০ রান।

সৌম্য সরকার ব্যাটিং করছেন ৩৯ রানে। অপরপ্রান্তে ধীর-স্থির হয়ে খেলছিলেন তামিম। তৃতীয় ওভারে ক্যাচের সুযোগ দিয়েও শুরুতে বেঁচে গিয়েছিলেন। হাতছাড়া হয় তা ক্যারিবীয়দের। তবে ষষ্ঠ ওভারে কোনও সুযোগ দেননি হোল্ডার। ১৮ রানে ব্যাট করতে থাকা তামিমকে তালুবন্দী করেন হোল্ডার। নতুন নামা সাব্বির রহমানও ফেরেন কোনও স্কোর না করে। তাকেও বিদায় দেন সেই গ্যাব্রিয়েল।

বার বার বৃষ্টি বিঘ্নিত হওয়ায় ২৪ ওভারের ম্যাচে মাশরাফিদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১০ রানে। বৃষ্টির আগে টস হেরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকেই ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।

জবাবে দুই ওপেনার শাই হোপ ও সুনিল আম্ব্রিসের দারুণ ব্যাটিংয়ে উড়ন্ত সূচনা পায় তারা। বিনা উইকেটে বৃষ্টির বাধার আগে স্কোর বোর্ডে উঠে আসে ২০.১ ওভারে ১৩১ রান। ততক্ষণে ক্রিজে ছিলেন শাই হোপ ৬৮ রানে আর আম্ব্রিস ৫৯ রানে। এরপর বৃষ্টির বাগড়ায় এক পর্যায়ে ম্যাচ বাতিলের আভাসই পাওয়া যাচ্ছিলো। তেমনটি হলে হলে লিগ পর্বে ভালো ফলের কারণে চ্যাম্পিয়ন হতো বাংলাদেশই। অবশেষে দীর্ঘ বিরতির পর ডাবলিনে রোদ হাসলে ম্যাচের পরিধি কামে দাঁড়ায় ২৪ ওভারে।

নতুন করে ব্যাটিংয়ে নামার পর ক্যারিবীয়রা আগের দারুণ সূচনা পুঁজি করতে চেয়েছে শেষ পর্যন্ত। ২৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে করতে পেরেছে ১৫২ রান।

উইকেট বাঁচিয়ে রেখে ডি/এল ম্যাথডে ভালো পুঁজির অপেক্ষায় সেভাবে মেরে খেলেনি। শুধু ওপেনার শাই হোপের উইকেটটি তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাউন্ডারি মারতে গিয়ে ৭৪ রানে ফেরেন এই ওপেনার। অপরপ্রান্তে অপরাজিত ছিলেন আম্ব্রিস ৬৯ রানে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর