বগুড়ার শেরপুরে নেই কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ

বগুড়ার শেরপুরে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধা ও আত্ম উৎসর্গকারী শহীদদের স্মরণে স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও গড়ে উঠেনি কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতিসৌধ। ফলে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে এখনও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারই একমাত্র ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে।

জানা যায়, মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে শেরপুর বাসির গুরুত্বপুর্ণ অবস্থান। তাই ১৯৭১ সালে এই উপজেলার শেরপুর পৌরশহর ছাড়াও দড়িমুকুন্দ, বাগড়া ইটখোলা, ঘোগাব্রীজ, কল্যাণী গ্রামে গণহত্যা সংঘটিত হয়। শেরপুর শহরে পাকহানাদারদের গুলিতে নিহত শহীদদের স্মরণে ২০০৪ সালে কর্মকারপাড়ার তিনমাথা মোড়ে
শহীদদের নাম সম্বলিত একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করে পৌরকৃর্তপক্ষ।

কিন্তু দীর্ঘদিন যাবত সেটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায় লোকচুক্ষুর আড়াল হতে বসেছে। মির্জাপুরে দড়িমুকুন্দ গণকবর সংরক্ষণ করা হলেও শেরপুরে গণহত্যার স্মৃতি বিজড়িত অন্যান্য স্থান দীর্ঘদিনেও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

২০১৫ সালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কল্যাণী গ্রামে ২০ জন শহীদের নামে একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি ২০১৮ সালে পুর্ননির্মাণ করা হয়। এছাড়া শেরপুর শহরের পৌর শিশু পার্কে ২০১০ সালে পৌরকর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক হিসাবে ‘‘স্বাধীন বাংলা’ নামের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করে।

শেরপুরে মুক্তিযুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় কোন স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন না করায় শেরপুরবাসীর প্রতি বছরেই জাতীয় দিবস গুলোতে যেতে হচ্ছে ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত শহীদ মিনারে। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুর রহমান জানান, সরকার ইতোমধ্যে দেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসংরক্ষনের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। শেরপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হলে তা নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানতে সাহায্য
করবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর