আল-আমিন এর চরিত্রটাই কী তাহলে বোরহান ?

ঘটনার ১০ দিন পরও কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুরের গজারিয়া বিলপাড়া জামতলী এলালায় স্বর্ণলতা পরিবহনের চলন্ত বাসে নার্স শাহীনূর আক্তার তানিয়াকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী
বোরহানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি।

হদিস মেলেনি তানিয়ার গলার স্বর্ণের চেইন এবং বেতনের টাকার। চলন্তবাসে নার্স তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িতদের মধ্যে বাসচালক নুরুজ্জামান, হেলপার লালন এবং পরোক্ষভাবে জড়িতদের মধ্যে কাউন্টার মাষ্টার রফিকুল ইসলাম ইতিমধ্যেই কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

আর এ তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে চালক নুরুজ্জামন, চালক নুরুজ্জামানের খালাতো ভাই বোরহান এবং হেলপার লালন এ তিনজন মিলেই পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা শেষে দুর্ঘটনার নাটক সাজানোর কথা রয়েছে। কিন্তু ঘটনার দশ দিন পার হতে চললেও ধর্ষক-হন্তারক বোরহান গ্রেফতার হয়নি এবং হদিস মেলেনি নিহত তানিয়ার গলার স্বর্ণের চেইন ও বেতনের টাকার।

উপরন্তু তানিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি আল-আমিনের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছেনা বলেও সংশ্লিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে। ওই সূত্রমতে, পরবর্তীতে বাসচালক নুরুজ্জামান ও হেলপার লালনের ১৬৪ ধারায় আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বোরহানের প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্ঠতার কথা আসার পর ধারণা করা হচ্ছে, তাহলে ধর্ষক-হন্তারক বোরহানই আল-আমিন ছদ্মনাম ব্যবহার করে কটিয়াদী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তানিয়ার লাশ ফেলে রেখে আসে।

আর যে কারণে ঘটনায় মামলা দায়েরের সময় তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িতদের মধ্যে বাসচালক নুরুজ্জামান, হেলপার লালন ও আল- আমিনকে এবং পরোক্ষ অংশগ্রহনকারী হিসেবে আবদুল্লাহ আল মামুনকে চিহ্নিতসহ অজ্ঞাত কতক জনকে আসামি করে। অবশ্য, পুলিশ এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর দ্রুত রহস্য উদঘাটনে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে স্বর্ণলতা পরিবহনের কাউন্টার মাষ্টার রফিকুল ইসলাম, লাইনম্যান বকুল ও খোকনকেও গ্রেফতার করে।

গত ৮ মে বাজিতপুর থানা পুলিশ তাদের পাঁচজনকে কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল-মামুন এর আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক প্রত্যেককে ৮ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আর এ পাঁচজনের মধ্যে ইতিমধ্যে বাসচালক নুরুজ্জামান, হেলপার লালন ও কাউন্টার মাষ্টার রফিকুল ইসলাম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে হাজতবাসী হয়েছেন। তবে, এ বর্বরোচিত ও মধ্যযুগীয় ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত অপর ধর্ষক ও হন্তারক বোরহানকে নিয়ে সৃষ্ঠি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জনের।

পুলিশ তার ব্যাপারে স্পষ্ট করে কোনো বক্তব্য না দেয়ায় এবং বোরহানকে নিয়ে মাথা ব্যথা নেই এমন ভাবের কারণে ধারণা করা হচ্ছে বোরহানও পুলিশের কব্জায় কিংবা নিবিড় নজরদারিতে রয়েছে। যে কোনো সময় বোরহান গ্রেফতার নাটকের অবসান ঘটবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর