অপু বিশ্বাস ডাকছেন, সাড়া দিন আপনিও

ঢালিউডে যারা কাজ করেন তারা শুধু চিত্র জগতের সীমানার মধ্যে আবদ্ধ তাকেন না।পাশাপাশি সামাজিক সচেতনামূলক বিভিন্ন কাজে চলচ্চিত্র কর্মীদের দেখা যায়।এ তালিকায় বিশেষ করে বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস এগিয়ে।এবার জলাতঙ্ক রোগ সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার কাজে নেমে পড়েছেন অপু।

মঙ্গলবার ১৩ মে, রাতে ‘জলাতঙ্ক রোগ’ সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেছেন এ অভিনেত্রী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত ৪ মিনিট ১০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে অপু বলেছেন মরণব্যাধি এই রোগের নানা দিক নিয়ে।

ভিডিওতে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। এই রোগে মৃত্যু শতভাগ নিশ্চিত। বাংলাদেশে সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি ও বানরের কামড় ও আঁচড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। তবে এসব প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের সাথে সাথে ১৫ মিনিট ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধুয়ে, দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা নিলে এই মরণব্যাধি থেকে শতভাগ মুক্ত থাকা সম্ভব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশে ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। তাই রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদফতর জলাতঙ্ক নির্মূলে দেশজুড়ে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ থেকে ২০ মে ২০১৯ পর্যন্ত সাত দিনব্যাপী ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সব স্থানের বেওয়ারিশ এবং পোষা কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দেয়া হচ্ছে। কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচি চলাকালে টিকাদানকারী টিমকে সার্বিক সহায়তা করুন।’

অপুর এই আহ্বানের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেছে। অনেকে কমেন্ট করছেন ও ভিডিও শেয়ার করছেন। এই মহতী কাজের অংশ নেয়ায় অনেকে অপুকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, সিটি করপোরেশনের লোকজন কুকুর শিকুরকে টিকা দিতে গেলে অনেকে তা ভালো চোখে দেখছেন না।তাদের উচিত এ ক্ষত্রে সহযোগিতা করা।কারণ এর মাধ্যমে তো কুকুর মারা যাবে না।সুতরাং অপুর মতো আপনারাও যে যার যায়গা থেকে সচেতন হোন।

জলাতঙ্ক একটি ভয়ঙ্কর মরণব্যাধি। এই রোগে মৃত্যু শতভাগ। বাংলাদেশে সাধারণত কুকুর, বিড়াল, শিয়াল, বেজি ও বানরের কামড় ও আঁচড়ের মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। তবে এসকল প্রাণীর কামড় বা আঁচড়ের সাথে সাথে ১৫ মিনিট ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে আক্রান্ত স্থান ধৌত করে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহন করলে এই মরণব্যাধি থেকে শতভাগ মুক্ত থাকা সম্ভব। আমাদের দেশে ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ ক্ষেত্রে কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে জলাতঙ্ক রোগ ছড়ায়। তাই রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জলাতঙ্ক নির্মূলে দেশজুড়ে ব্যাপক হারে কুকুরের টিকাদান কর্মসূচি পালন করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ১৪ থেকে ২০ মে ২০১৯ পর্যন্ত সাতদিন ব্যাপি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সকল স্থানের বেওয়ারিশ এবং পোষা কুকুরকে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক দেয়া হবে। কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচি চলাকালিন সময় টিকাদানকারী টিমকে সার্বিক সহায়তা করুন।

Gepostet von Apu Biswas am Dienstag, 14. Mai 2019

বার্তাবাজার/এএস

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর