স্ত্রীকে ফেলে অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিজের স্ত্রী সন্তান রেখে ছেলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। জেলারর শিবগঞ্জ উপজেলার ধাইনগর ইউনিয়নের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, মহিষপুর গ্রামের বাবর আলীর ছেলে ইউসুফ আলীর সঙ্গে একই ইউনিয়নের জাবড়ি কাজিপাড়া গ্রামের মৃত জোবদুল হকের মেয়ে সাথী খাতুনের প্রায় তিন বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর পুত্রবধূর দিকে কু-নজর পড়ে শ্বশুর বাবর আলীর। প্রায় দুই মাস আগে পুত্রবধূকে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় শ্বশুর বাবর আলী।

খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আ.ক.ম তাবারিয়া চৌধুরী লোক পাঠিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বারঘোরিয়া হতে তাদের ধরে ধাইনগর ইউপি কার্যালয়ে আটকে রাখে। পরে স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক বসানো হয়।

শালিসে স্ত্রী তিন সন্তানের জননী নাসিমা বেগমকে দিয়ে বাবর আলীকে তালাক দেয়া হয়। এরপর ছেলে ইউসুফ আলীকে স্ত্রী সাথী খাতুনকে তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। এরপর পরই দেড় লাখ টাকা মোহরে পুত্রবধূ সাথীর সঙ্গে শ্বশুর বাবর আলীর বিয়ে পড়ানো হয়। এতে ঘটনায় সহায়তা করার অভিযোগ উঠে স্থানীয় চেয়ারম্যান তাবারিয়ার বিরুদ্ধে।

চেয়ারম্যান তাবারিয়া জানান, সাথী খাতুন প্রায় ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা রয়েছে। তার গর্ভের সন্তান শ্বশুর বাবরের বলে শালিসে উপস্থিত সবাইকে জানায় সাথী। প্রায় ৬ মাস আগে বাবরের স্ত্রী তাকে তালাক দেয় এবং দুই মাস আগে ছেলে ইউসুফ আলী বউ সাথীকে তালাক দেয়। নিয়ম মোতাবেক তালাক হওয়ায় মানবিক কারণে তিন কাঠা জমি ও দেড় লাখ টাকা মোহর ধার্য করে বাবর ও সাথীর সঙ্গে বিয়ে পড়নো হয়।

শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বার্তা বাজার-কে জানান, ঘটনাটি লোকমুখে তিনি শুনেছেন। এঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে যদি কেউ অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তাবাজার/কেআই

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর