এ মাসেই আসছে ডেঙ্গু…

চলতি মাস থেকেই দেখা দিতে পারে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব। তবে সচেতন থাকলে ডেঙ্গু নিয়ে কোনো দুশ্চিতার কারণ নেই বলেও আগাম বার্তা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বর্ষা শুরু হওয়ার পর থেকেই ডেঙ্গুর জীবাণু বহনকারী এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করতে না পারলে মূলত এই রোগের আরো বেশি বিস্তার ঘটবে। এজন্য আগে থেকেই নগরবাসীকে সতর্ক করতে নানা কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।

এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই নগরবাসীকে ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতন করতে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন অঞ্চলে আলোচনা, সেমিনার ও অবহিতকরণ সভা করছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। এসব সভায় সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম মুয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, আবাসিক এলাকার কল্যান সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে সচেতনার কর্মসূচীতে অংশ নিচ্ছেন। এসব সভায় নগরবাসীকে জানানো হয় ডেঙ্গুর মৌসুম শুরু হচ্ছে। তাই এখন থেকেই সবাইকে সচেতন হতে হবে।

এদিকে ডেঙ্গু নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালিত গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়েছে, বছরের মে এবং জুন মাসেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে। এছাড়া সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এর বিস্তার থাকে। চলতি মে মাসের শুরু থেকেই রাজধানীতে ডেঙ্গুর বিস্তার শুরু হয়েছে। রিপোর্টের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে গত জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে ১৮ জন। তবে এর পরে এপ্রিলে ৩৬ জন আর মে মাসের প্রথম ১২ দিনেই এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৫ জনে। অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন ক্রমেই বাড়ছে। বছর ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ২০১৮ সালে বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর যে রিপোর্ট এসেছে সেখানে এই সংখ্যা ১০ হাজার এক শ’ ৪৮ জন । তবে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলছে আমাদের কাছে ২০১৮ সালে যে রিপোর্টগুলো এসেছে তা প্রকৃত পরিসংখ্যান নয়। পকৃত পক্ষে এই সংখ্যা হবে দশগুণ, অর্থাৎ ডেঙ্গু রোগীর প্রকৃত সংখ্যা ছিল এক লাখের বেশি । তবে এ অবস্থায় আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মমিনুর রহমান মমিন এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা যদি নিজেদের বাসা বাড়ি নিজেরাই পরিস্কার রাখি এবং এখানে সেখানে জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিস্কার করি তাহলে ডেঙ্গু নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এসির পানি, ডাবের খোসার পানি, ফ্রিজের নিচে জমে থাকা পানি নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে পরিস্কার করতে হবে। কারো জ্বর হলে তিন দিনের মধ্যেই ডেঙ্গুর পরীক্ষা করতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শে চিকিৎসা নিলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর