কিশোরগঞ্জের মেয়ে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি স্বর্ণলতা বাসের কাউন্টার মাস্টার রফিকুল ইসলাম আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। বুধবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এর আগে বিকেলে কঠোর গোপনীয়তা ও পুলিশি প্রহরায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে রফিকুল তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যায় সরাসরি জড়িত না থাকলেও আসামিদের বাঁচাতে সহযোগিতা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রফিকুল আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার লোহাদী গ্রামের নজর আলীর ছেলে।
এদিকে আট দিনের রিমান্ড শেষে মামলার অপর দুই আসামি লাইনম্যান খোকন মিয়া ও কাউন্টার মাস্টার বকুল মিয়াকে একই দিন আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠানো হয়েছে।
গত ৮ মে বাসের চালক নূরুসহ পাঁচজনকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডের পাঁচ দিনের মাথায় আদালতে সবকিছু স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন নূরু। মঙ্গরবার জবানবন্দি দেন বাসের হেলপার লালন মিয়া। রিমান্ডের শেষ দিনে বুধবার রফিকুল আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিলেন।
গত ৬ মে রাতে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের পিরিজপুর রুটে চলাচলকারী স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে ইবনে সিনা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স (সেবিকা) শাহীনূর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়। তিনি কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরি ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের মো. গিয়াসউদ্দিনের মেয়ে।