আবু জায়েদ চৌধুরী পাঁচ উইকেট নিলেও পল স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরিতে লড়াই করার মতো রান তুলেছিল আয়ারল্যান্ড। চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ায় সামনে থেকে পথ দেখাল উদ্বোধনী জুটি। লিটন দাস ও তামিম ইকবাল করলেন ফিফটি। সাকিব আল হাসানও খেললেন পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস। টপ অর্ডারের দৃঢ়তায় অনায়াসেই জিতল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের উদ্ভাসিত জয়
ত্রিদেশীয় সিরিজে এখন পর্যন্ত আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই লক্ষ্য ছিল নাগালে। তিনশ রানের কাছাকাছি সংগ্রহ গড়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। সেই চ্যালেঞ্জ কী দাপটের সঙ্গেই না জিতে নিল বাংলাদেশ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক ছন্দে খেলে সহজেই হারাল আইরিশদের।
ত্রিদেশীয় সিরিজের নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ৬ উইকেটে জিতেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের ২৯২ রান পেরিয়ে গেছে ৪২ বল বাকি থাকতে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯২/৮ (স্টার্লিং ১৩০, ম্যাককলাম ৫, বালবার্নি ২০, পোর্টারফিল্ড ৯৪, ও’ব্রায়েন ৩, অ্যাডায়ার ১১, উইলসন ১২, ডকরেল ৪, ম্যাককার্থি ১* আবু জায়েদ ৫/৫৮, রুবেল ১/৪১, সাইফ ২/৪৩, মোসাদ্দেক ০/৩২, সাকিব ০/৬৫, মাশরাফি ০/৪৭)
বাংলাদেশ: ৪৩ ওভারে ২৯৪/৪ (তামিম ৫৭, লিটন ৭৬, সাকিব ৫০ আহত অবসর, মুশফিক ৩৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৫*, মোসাদ্দেক ১৪, সাব্বির ৭*; অ্যাডায়ার ১/৫২, ম্যাককার্থি ১/৬১, লিটল ০/৬৭, র্যানকিন ২/৪৮, ডকরেল ০/৫৭)
ফল: বাংলাদেশ ৬ উইকেটে জয়ী
সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না মোসাদ্দেক
ম্যাচ শেষ করে আসার সুযোগ হাতছাড়া করলেন মোসাদ্দেক হোসেন। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বল থার্ড ম্যানে খেলতে চেয়েছিলেন মোসাদ্দেক। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা পড়ে গ্যারি উইলসনের গ্লাভসে। ১৭ বলে এক চারে ১৪ রান করে ফিরেন মোসাদ্দেক।
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৭৮/৪। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী সাব্বির রহমান। জয়ের জন্য শেষ ৯ ওভারে ১৫ রান চাই তাদের।
ফিফটি করে মাঠ ছাড়লেন সাকিব
তিন নম্বরে দারুণ মানিয়ে গেছেন সাকিব আল হাসান। তুলে নিয়েছেন ত্রিদেশীয় সিরিজে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি। ৫১ বলে ক্যারিয়ারের ৪২তম ফিফটি করার পরপরই সাইড স্ট্রেইনের জন্য মাঠ ছাড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার ইনিংস গড়া চারটি চারে।
৩৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪৭/৩। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মোসাদ্দেক হোসেন। জয়ের জন্য শেষ ১৪ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৪৬ রান।
মুশফিককে ফেরালেন র্যানকিন
আবার আঘাত হানলেন বয়েড র্যানকিন। ফিরিয়ে দিলেন কিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে।
লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বল ফ্লিক করতে চেয়েছিলেন মুশফিক। ব্যাটে খেলতে পারেননি, ছুঁয়ে যায় গ্লাভস। ঝাঁপিয়ে ক্যাচ গ্লাভসে নেন গ্যারি উইলসন। ৩৩ বলে পাঁচ চারে ৩৫ রান করে ফিরেন মুশফিক, ভাঙে ৬৪ রানের জুটি।
৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২২৫/৩। মোহাম্মদ মিঠুন না থাকায় পাঁচ নম্বরে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ। অন্য প্রান্তে আছেন সাকিব আল হাসান। জয়ের জন্য শেষ ১৭ ওভারে বাংলাদেশের চাই ৬৮ রান।
সাকিব-মুশফিক জুটিতে পঞ্চাশ
বড় রান তাড়ায় দলকে টানছেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। দুই ব্যাটিং ভরসা গড়েছেন ওয়ানডেতে তাদের সপ্তদশ পঞ্চাশ রানের জুটি।
দুই ওপেনার ভালো শুরু এনে দেওয়ার পর সাকিব-মুশফিকের কাজ ছিল ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান দারুণভাবে পালন করছেন দায়িত্ব। ৫০ বলে তুলে নিয়েছেন জুটির পঞ্চাশ।
৩১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১৩। সাকিব ৩৯ ও মুশফিক ৩০ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ১৯ ওভারে আরও ৮০ রান চাই তাদের।
বাংলাদেশের দুইশ
ফিফটি করে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ফিরে গেলেও কমেনি রানের গতি। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করা মুশফিক চড়াও হয়েছেন বোলারদের ওপর। দারুণ সঙ্গে দিচ্ছেন সাকিব। দ্রুত জমে উঠেছে তাদের জুটি। ১৫তম ওভারে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছিল বাংলাদেশ, দুইশ রান এলো ৩০তম ওভারে।
৩০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২০৬/২। সাকিব ৩৫ ও মুশফিক ২৮ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২০ ওভারে আরও ৮৭ রান চাই তাদের।
লিটনকে থামালেন ম্যাককার্থি
পঞ্চাশ ছোঁয়ার পর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন লিটন দাস। দ্রুত তোলার চেষ্টায় থাকা এই ওপেনারকে বোল্ড করে থামালেন ব্যারি ম্যাককার্থি।
ফুল লেংথ বল লেগে ঘুরাতে চেয়েছিলেন লিটন। স্লোয়ার বলে একটু আগেভাগে শট খেলে ফেলা ডানহাতি ব্যাটসম্যান বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। এলোমেলো হয়ে যায় স্টাম্পস। ৬৭ বলে ৯ চার ও এক ছক্কায় ৭৬ রান করে ফিরেন লিটন।
২৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬৫/২। ক্রিজে সাকিব আল হাসানের সঙ্গী মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলে চার হাঁকানো মুশফিকুর রহিম। জয়ের জন্য শেষ ২৭ ওভারে আরও ১২৮ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের।
ভালো শুরু দিয়ে ফিরলেন তামিম
দলকে ভালো শুরু এনে দিয়ে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। তাকে বোল্ড করে ১১৭ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙলেন বয়েড র্যানকিন।
টানা দুই ইনিংসে বোল্ড হলেন তামিম। আইরিশ পেসারের বল তার ব্যাটের কানায় লেগে ড্রপ খেয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫৩ বলে ৯ চারে ৫৭ রান করে ফিরেন তামিম।
১৭ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২২/১। ক্রিজে লিটন দাসের সঙ্গী বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে লিটনের ফিফটি
সবশেষ সিরিজটা ভীষণ বাজে কেটেছিল লিটনের। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচেই ফিরেছিলেন ১ রান করে। সৌম্য সরকারের বিশ্রামে একাদশে ফিরে পেলেন রানের দেখা। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তুলে নিলেন ফিফটি।
হুট করে বাজে এক শটে ভালো সুযোগগুলো হাতছাড়া করেন বলে ক্যারিয়ারে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খুব বেশি নেই। ৪৭ বলে ৭ চারে তুলে নিলেন দ্বিতীয় ফিফটি। ওয়ানডেতে তার সেঞ্চুরি আছে একটি।
বাজে বলের জন্য অপেক্ষা করেছেন লিটন। মেরেছেন নিশ্চিত হয়ে। শট সিলেকশনে বেশ সতর্ক। তামিম ইকবালের সঙ্গে জমে উঠেছে তার জুটি।
১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১১২/০। তামিম ৫৩ ও লিটন ৫২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩৪ ওভারে আরও ১৮১ রান চাই তাদের।
ছন্দে থাকা তামিমের ফিফটি, জুটির শতরান
ছন্দে থাকা তামিম ইকবাল আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ৪৬ বলে এসেছে বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৬তম ফিফটি।
বড় রান তাড়ায় দলকে সামনে থেকে পথ দেখাচ্ছেন তামিম। খেলছেন খুব একটা ঝুঁকি না নিয়ে। বাউন্ডারির জন্য অপেক্ষা করছেন সঠিক বলের। এর মধ্যেই একটি কঠিন সুযোগ দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষককে কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি গ্যারি উইলসন।
১৫তম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়ার পথে আটটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। সাবলীল ছিলেন স্বাগতিকদের সব বোলারের বিপক্ষেই।
সেই ওভারের শেষ বলে লিটন দাসের বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কে যায় জুটি ও দলের রান। আগের ১০ ইনিংস মিলিয়ে তামিম-লিটন তুলেছিলেন ১৪৩ রান। এক ইনিংসেই সেই রান ছাড়িয়ে যাওয়র আশা জাগিয়েছেন তারা।
১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০৩/০। তামিম ৫১ ও লিটন ৪৫ রানে ব্যাট করছেন।
তামিম-লিটনের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি
বড় রান তাড়ায় বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দিয়েছে তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। ৫২ বলে এসেছে তাদের জুটির পঞ্চাশ।
এগারোতম ইনিংসে এসে প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটির দেখা পেলেন তামিম-লিটন। তাদের আগে সেরা জুটি ছিল গত ডিসেম্বরে সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৪৫। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচে ৫, ৫ ও শূন্য রানে ভেঙেছিল তাদের জুটি।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৩/০। তামিম ৩১ ও লিটন ২০ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৪১ ওভারে আরও ২৪০ রান চাই তাদের।
জীবন পেলেন তামিম
একটুর জন্য বেঁচে গেলেন তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে তার ক্যাচ গ্লাভসে জমাতে পারেননি উইকেটকিপার।
নবম ওভারে লেট কাট করে কিপারের পাশ দিয়ে বল পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন তামিম। লাফিয়ে নাগাল পেয়ে গিয়েছিলেন গ্যারি উইলসন কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি। বাউন্ডারি পেয়ে যান তামিম। সে সময় ২২ রানে ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
বাংলাদেশের সাবধানী শুরু
বড় রান তাড়ায় শুরুতে সাবধানী বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাস শট খেলছেন নিজের জোনে বল পেলে।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২৪/০। দুটি চারে তামিম ১৮ বলে করেছেন ১২ রান। সৌম্য সরকারের জায়গায় এই ম্যাচে খেলা লিটন ১২ বলে দুই চারে করেছেন ১০ রান।
জয়ের জন্য শেষ ৪৫ ওভারে আরও ২৬৯ রান চাই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ ছিল বাংলাদেশের। পঞ্চাশ ছোঁয়ার খানিক পর পল স্টার্লিংকে ফিরিয়ে নিয়ন্ত্রণ আরও দৃঢ় করার সুযোগ ছিল তাদের সামনে। ৫৭ ও ৫৮ রানে দুইবার জীবন পাওয়া ওপেনার টানেন দলকে; তৃতীয় উইকেটে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের সঙ্গে গড়েন দেড়শ ছাড়ানো জুটি।
সাকিব আল হাসান নিজের প্রথম বলে পেতে পারতেন স্টার্লিংয়ের উইকেট। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন সহজ ক্যাচ ছাড়ায় বেঁচে যান আইরিশ ব্যাটসম্যান। পরে তিনিই সাকিবের এক ওভার থেকে তুলে নেন ২৩ রান। ওয়ানডেতে সাকিবের সবচেয়ে খরুচে ওভার।
কম রানে যে জুটি ভাঙতে পারতো সেটি যায় ১৭৪ পর্যন্ত। স্টার্লিং করেন ১৩০, নড়বড়ে শুরু করা পোর্টারফিল্ড থামেন ৯৪ রানে।
বোলিংয়ে সবচেয়ে উজ্জ্বল আবু জায়েদ চৌধুরী। অভিষেকে কোনো উইকেট না পাওয়া এই পেসার ৫৮ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। এই ম্যাচেও প্রথম পাঁচ ওভারে ছিলেন উইকেটশূন্য।
চোট কাটিয়ে ফেরা সাইফ ২ উইকেট নিয়েছেন ইনিংসের শেষ ওভারে। দুই স্পেলে ৭ ওভার বোলিং করা রুবেল হোসেন নিয়েছেন এক উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আয়ারল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯২/৮ (স্টার্লিং ১৩০, ম্যাককলাম ৫, বালবার্নি ২০, পোর্টারফিল্ড ৯৪, ও’ব্রায়েন ৩, অ্যাডায়ার ১১, উইলসন ১২, ডকরেল ৪, ম্যাককার্থি ১* আবু জায়েদ ৫/৫৮, রুবেল ১/৪১, সাইফ ২/৪৩, মোসাদ্দেক ০/৩২, সাকিব ০/৬৫, মাশরাফি ০/৪৭)
সাইফের দ্বিতীয় শিকার ডকরেল
শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে আয়ারল্যান্ডের রান তিনশ ছুঁতে দিলেন না মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। ইনিংসের শেষ বলে জর্জ ডকরেলকে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট নিলেন তিনি।
মিডল স্টাম্পে থাকা ফুল লেংথ বল প্যাডেল করতে চেয়েছিলেন ডকরেল। ব্যাটে-বলে করতে না পেরে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ৮ উইকেটে ২৯২ রানে থামে আয়ারল্যান্ড।
হিট উইকেট অ্যাডায়ার
তিনশ ছুঁতে আয়ারল্যান্ড তাকিয়ে ছিল মার্ক অ্যাডায়ারের দিকে। ইনিংসের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে তাকে ফিরিয়ে দেন মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
ফুল লেংথ বলকে হাফ ভলি বানাতে ক্রিজের অনেক গভীরে চলে গিয়েছিলেন আইরিশ ব্যাটসম্যান। তার জন্য কাল হয় সেটাই, ব্যাট লেগে যায় স্টাম্পে। ৭ বলে এক চারে ১১ রান করে হিট উইকেট হয়ে ফিরে যান অ্যাডায়ার।
৪৯.৪ ওভারে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২৯১/৭। ক্রিজে জর্জ ডকরেলের সঙ্গী ব্যারি ম্যাককার্থি।
আবু জায়েদের পঞ্চম শিকার উইলসন
অভিষেকে উইকেটশূন্য ছিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। পরের ম্যাচে হাতে ধরা দিল সাফল্য। বাংলাদেশের চতুর্থ বোলার হিসেবে দেশের বাইরে পাঁচ উইকেট পেলেন এই পেসার।
৪৯তম ওভারে আবু জায়েদের প্রথম তিন বল থেকে ১০ রান তুলে নিয়েছিলেন গ্যারি উইলসন। চতুর্থ বলে তাকে ফিরিয়ে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন আবু জায়েদ।
দেশের বাইরে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে পাঁচ উইকেট আছে কেবল মাশরাফি বিন মুর্তজা, আব্দুর রাজ্জাক ও জিয়াউর রহমানের।
৪৯ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২৯০/৬। ক্রিজে মার্ক অ্যাডায়ারের সঙ্গী জর্জ ডকরেল।
৯ ওভারে ৫৮ রানে ৫ উইকেট নিলেন আবু জায়েদ।
স্টার্লিং ঝড় থামালেন আবু জায়েদ
সেঞ্চুরির পর বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন পল স্টার্লিং। দারুণ এক স্লোয়ারে বিস্ফোরক ওপেনারকে ফিরিয়ে দিলেন আবু জায়েদ চৌধুরী।
লেগ স্টাম্পে ফুল লেংথের বল ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন স্টার্লিং। ঠিক মতো টাইমিং করতে পারেননি। সীমানায় ক্যাচ মুঠোয় জমান লিটন দাস। ১৪১ বলে খেলা স্টার্লিংয়ের ১৩০ রানের ইনিংসটি গড়া আট চার ও চার ছক্কায়।
টিকলেন না ও’ব্রায়েন
বেশিক্ষণ টিকলেন না কেভিন ও’ব্রায়েন। আবু জায়েদ চৌধুরীকে ছক্কায় উড়ানোর চেষ্টায় ফিরে গেছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান।
লং অন দিয়ে বল উড়াতে চেয়েছিলেন ও’ব্রায়েন। টাইমিং করতে পারেননি এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। সহজ ক্যাচ মুঠোয় নেন তামিম ইকবাল। চার বলে তিন রান করে ফিরে যান ও’ব্রায়েন। আবু জায়েদ পান নিজের তৃতীয় উইকেট।
পোর্টারফিল্ডকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন আবু জায়েদ
বোলিংয়ে ফিরে নিজের প্রথম ওভারে আঘাত হানলেন আবু জায়েদ চৌধুরী। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডকে ফিরিয়ে দিয়ে ১৭৪ রানের জুটি ভাঙলেন এই পেসার।
রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টায় ছিলেন আইরিশ অধিনায়ক। সেঞ্চুরির চেয়ে রানের গতিতে দম দেওয়া বেশি জরুরি ছিল তার কাছে। সেই চেষ্টায় আবু জায়েদের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে এক্সট্রা কাভারে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে। বিদায় নিলেন ৯৪ রানে। ১০৬ বলের ইনিংস গড়া সাত চার ও দুই ছক্কায়।
৪৫ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২৩৬/৩। ক্রিজে সেঞ্চুরিয়ান পল স্টার্লিংয়ে সঙ্গী কেভিন ও’ব্রায়েন।
স্টার্লিং-পোর্টারফিল্ড জুটিতে দেড়শ
মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে উইলিয়াম পোর্টারফিল্ডের বিশাল ছক্কায় দেড়শ ছুঁয়েছে তৃতীয় উইকেট জুটির রান।
ওয়ানডেতে আইরিশদের একাদশ দেড়শ রানের জুটি আসে ১৮৯ বলে। তৃতীয় উইকেটে এটাই তাদের প্রথম দেড়শ রানের জুটি। আগের সেরা ছিল ২০১৫ সালে হোবার্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অ্যান্ডি বালবার্নি ও এড জয়েসের ১৩৮।
যে কোনো উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সেরা জুটি পেয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড। ২০১০ সালে বেলফাস্টে উদ্বোধনী জুটিতে ১১৮ রান তুলেছিলেন স্টার্লি ও পোর্টারফিল্ড।
৪৩ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২২২/২। স্টার্লিং ১০২ ও পোর্টারফিল্ড ৯০ রানে ব্যাট করছেন।
ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড ছবি: ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড দুইবার জীবন পাওয়া স্টার্লিংয়ের সেঞ্চুরি
ফিফটির আগে-পরে দুই মেজাজে ব্যাটিং করা পল স্টার্লিং তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারের অষ্টম শতক, বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম।
৫৭ ও ৫৮ রানে জীবন পাওয়া স্টার্লিং তিন অঙ্কে যান ১২৭ বলে। ৫১ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ছুঁয়েছিলেন পঞ্চাশ। পঞ্চাশ থেকে শতরানে যাওয়ার পথে ৭৬ বলে মাত্র দুটি বাউন্ডারি আসে তার ব্যাট থেকে। এক বছরের বেশি সময় পর সেঞ্চুরি পেলেন এই ডানহাতি ওপেনার।
৪২ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২০২/২। স্টার্লিং ১০১ ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ৭২ রানে ব্যাট করছেন।
পোর্টারফিল্ডের লড়াকু ফিফটি, জুটিতে শতরান
শুরুতে বেশ ভুগেছেন তবুও মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। সময় গড়ানোর সঙ্গে ফিরে পান নিজেকে। উইকেটের চারপাশে শট খেলে ৭০ বলে তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের ষোড়শ ফিফটি।
সাকিব আল হাসানের বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন পোর্টারফিল্ড। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে পাঁচ চার। সবশেষ ১৫ ম্যাচে এটি অধিনায়কের প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।
এই ওভারেই এক বল পরে পল স্টার্লিংয়ের সিঙ্গেলে তিন অঙ্কে যায় তৃতীয় উইকেট জুটির রান। মন্থর শুরু করা জুটির একশ রান আসে ১৩৮ বলে।
৩৪ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১৬০/২। স্টার্লিং ৮১ ও পোর্টারফিল্ড ৫১ রানে ব্যাট করছেন।
পরপর দুই বলে স্টার্লিংয়ের জীবন
শুরুতে আগ্রাসী ব্যাটিং করা পল স্টার্লিং ভুগছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের আঁটসাঁট বোলিংয়ে। ২১তম ওভারের শেষ বলে অফ স্পিনার মোসাদ্দেককে উড়িয়ে কমাতে চেয়েছিলেন চাপ। ঠিক মতো টাইমিং হয়নি, ক্যাচ যায় লং অফে। একটু দেরিতে সাড়া দেওয়া সাব্বির রহমান কিছুটা ছুটে এসে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি।
৫৭ রানে জীবন পাওয়া স্টার্লিং পরের ওভারের প্রথম বলে বেঁচে যান সাইফের ব্যর্থতায়। বোলিংয়ে এসে নিজের প্রথম বলেই উইকেট পেতে পারতেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি স্পিনারের বলে পয়েন্টে একদম সহজ ক্যাচ মুঠোয় নিতে পারেননি সাইফ।
২২ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১০৩/২। স্টার্লিং ৫৯ ও উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ১৮ রানে ব্যাট করছেন।
আয়ারল্যান্ডের একশ
অ্যান্ডি বালবার্নিকে হারানোর পর কিছুটা কমেছে আয়ারল্যান্ডের গতি। নবম ওভারে পঞ্চাশ ছোঁয়া স্বাগতিকদের রান তিন অঙ্কে গেছে ২১তম ওভারে।
শুরুতে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া পল স্টার্লিং ধরে রাখতে পারেননি গতি। রানের জন্য সংগ্রাম করছেন অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
একটু খরুচে বোলিং করেছেন কেবল আবু জায়েদ। আর কেউ ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান দেননি। বোলিং সামর্থ্যের জন্য বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়া মোসাদ্দেক হোসেন অফ স্পিনে বেঁধে রেখেছেন ব্যাটসম্যানদের। রুবেল হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ভালো করেছেন নিজেদের প্রথম স্পেলে।
২১ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ১০১/২। স্টার্লিং ৫৮ ও পোর্টারফিল্ড ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে স্টার্লিংয়ের ফিফটি
শুরু থেকে বোলারদের উপর চড়াও হয়ে দ্রুত রান তুলছেন পল স্টার্লিং। আয়ারল্যান্ডের বিস্ফোরক ওপেনার ৫১ বলে তুলে নিয়েছেন তার ক্যারিয়ারের ২০তম ফিফটি।
সপ্তদশ ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন স্টার্লিং। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে চারটি চার ও দুটি ছক্কা। আইরিশ ওপেনার দুটি ছক্কাই হাঁকিয়েছেন রুবেল হোসেনকে।
১৭ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৮৯/২। স্টার্লিং ৫২ ও অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড ১১ রানে ব্যাট করছেন।
আবু জায়েদের প্রথম উইকেট বালবার্নি
অভিষেকে উইকেটশূন্য আবু জায়েদ দ্বিতীয় ম্যাচে পেলেন উইকেটের দেখা। ফিরিয়ে দিলেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান অ্যান্ডি বালবার্নিকে।
খরুচে বোলিং করা আবু জায়েদ সাফল্য পেলেন শর্ট বলে। শরীরের কাছে থাকা বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি বালবার্নি। সহজ ক্যাচ গ্লাভসে জমান মুশফিকুর রহিম।
২০ বলে চারটি চারে ২০ রান করে ফিরেন বালবার্নি। ১১ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৬০/২। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড।
আয়ারল্যান্ডের পঞ্চাশ
নবম ওভারের শেষ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করলো আয়ারল্যান্ডের রান। আবু জায়েদ চৌধুরীর বল ঠিক মতো খেলতে পারেননি অ্যান্ডি বালবার্নি। ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ক্যাচের মতো উঠেছিল, সেখানে কোনো ফিল্ডার না থাকায় ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান পেয়ে যান বাউন্ডারি।
৯ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ৫৩/১। পল স্টার্লিং ৩২ ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান বালবার্নি ১৪ রানে খেলছেন।
প্রথম আঘাত রুবেলের
বেশিক্ষণ টিকল না আয়ারল্যান্ডের শুরুর জুটি। চতুর্থ ওভারে জেমস ম্যাককলামকে ফিরিয়ে দিলেন রুবেল হোসেন।
অফ স্টাম্পের লেংথ বল ব্যাক ফুট পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন ম্যাককলাম। ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে স্লিপে ধরা পড়েন লিটন দাসের হাতে।
আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা ম্যাককলাম ফিরেন এক চারে ১০ বলে ৫ রান করে। ভাঙে ২৩ রানের জুটি।
৪ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের স্কোর ২৩/১। ক্রিজে পল স্টার্লিংয়ের সঙ্গী অ্যান্ডি বালবার্নি।
বাংলাদেশ দলে চার পরিবর্তন
নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশ বিশ্রাম দিয়েছে পেসার মুস্তাফিজুর রহমান, অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান, বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকার ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনকে। একাদশে ফিরেছেন চোট থেকে সেরে ওঠা অভিজ্ঞ পেসার পেসার রুবেল হোসেন, মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন, ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
এক ম্যাচ পর পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফ ফিরলেও অভিষেকে বিবর্ণ পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী পেয়েছেন আরেকটি সুযোগ।
রুবেল সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন গত ফেব্রুয়ারিতে, নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। সেই ম্যাচেই সবশেষ খেলেছিলেন লিটন। গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন মোসাদ্দেক।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, আবু জায়েদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন।
আয়ারল্যান্ড দলে এক পরিবর্তন
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচের দলে একটি পরিবর্তন এনেছে আয়ারল্যান্ড। বাদ পড়েছেন টিম মারটাঘ, দলে এসেছেন আরেক পেসার ব্যারি ম্যাককার্থি।
আয়ারল্যান্ড একাদশ: পল স্টার্লিং, জেমস ম্যাককলাম, অ্যান্ড্রু বালবার্নি, উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড (অধিনায়ক), কেভিন ও’ব্রায়েন, মার্ক অ্যাডায়ার, গ্যারি উইলসন, জর্জ ডকরেল, বয়েড র্যানকিন, ব্যারি ম্যাককার্থি, জশ লিটল।
টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। সিরিজে তৃতীয়বারের মতো টস হেরেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান, টস জিতলে ব্যাটিং করতেন তিনিও।
বাংলাদেশের গভীরতা পরীক্ষা করে নেওয়ার ম্যাচ
আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করা বাংলাদেশের সামনে বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। সঙ্গে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ।
ডাবলিনের ক্যাসল এভিনিউয়ে বুধবার খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বেলা পৌনে চারটায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচে ৮ ও ৫ উইকেটে হারিয়ে শীর্ষে থেকে ফাইনালে যায় বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের অন্য ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে যায়।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হারে আয়ারল্যান্ড। প্রথম ম্যাচে হারে ১৯৬ রানে, পরেরটিতে ৫ উইকেটে। ফাইনালের আশা শেষ হয়ে যাওয়া স্বাগতিকদের সামনে শেষটা রাঙিয়ে রাখার সুযোগ।