কলাপাড়ায় মরিচ-হলুদ গুড়ার ঝাঁঝে এলাকাবাসী অতিষ্ট

পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌরশহরের ল ঘাট এলাকায় একাধিক মেশিন স্থাপন করে হলুদ-মরিচ গুড়ো করার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, বাসিন্দারা হলুদ মরিচের ঝাঁঝাঁলো গন্ধে শ্বাস কস্ট, হাচি-কাশিসহ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে গুড়ো করার মেশিন স্থাপন করে ক্ষুদ্র মিল মালিকরা কার্যক্রম চালিয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, হলুদ-মরিচ গুড়া করা মেশিনের মালিক মো. শাহজাহান পাহলায়নের একটি জড়াজীর্ণ টিনের ঘরে ৪ টি মেশিন দিয়ে চাল, হলুদ-মরিচ গুড়ো করছে। এসময় ওই ঘরের আশ পাশের মানুষ হাঁচি, কাশি ও শ্বাস কস্টে আক্রান্ত হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আ. ছালাম হাওলাদার জানান, টিনের ছাউনি ঘরের মধ্যে ৪ টি মেশিন স্থাপন করে দিন রাত গুড়ো করছে হলুদ-মরিচ। যখন মেশিন চালু করে তখন আমাদের শ্বাস করতে কষ্ট হয়। হলুদ-মরিচের ঝাঁঝে চোখদিয়ে পানি ঝড়তে শুরু করে, মুখমন্ডল জ্বলে যায়। সব সময় হাচি-কাশি লেগেই থাকে।
নরেন্দ্র চন্দ্র পাল জানান, ঝাঁঝাঁলোর গন্ধে বাসার শিশুরা কান্না কাটি করে। শ্বাস নিতে পারে না। এযেন আমরা কোন এক মগের মুল্লুকে বসবাস করছি। উম্মুক্ত অবস্থায় হলুদ-মরিচ গুড়ো করা বন্ধের জন্য বলা হলেও কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা মেশিন মালিকরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ফোরকান শিকদার জানায়, রমজানের মধ্যে রোজা রেখে এই পরিবেশে টিকে থাকা যায় না। যখন মেশিন দিয়ে হলুদ-মরিচ গুড়ো করে তখন প্রায় দম বন্ধ হয়ে আসে। জনগনের জন্য এখান থেকে গুড়ো মেশিন গুলো অপসারন করে শহরের অগুরুত্বর্পূণ এলাকায় স্থাপন করার জন্য বাধ্য করা হোক। মাত্র ১০০ ফুট এলাকার মধ্যে তিন চারটি হলুদ-মরিচ গুরোর দোকান নিয়ে জনগনের দূর্ভোগের বিবেচনা না করে গুড়ির মেশিন স্থাপন করা নিয়ে এলাকাবাসি এবং সর্বস্তরের জনগনের মাঝে ক্ষোভ সৃস্টি হয়েছে।
এব্যাপারে হলুদ-মরিচ গুরা করা মেশিনের মালিক মো. শাহজাহান পাহলয়ানের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

অপর মেশিন মালিক মো. মহিবুল্লাহ জানায়, আমরা ২০ বছর ধরে এখানে হলুদ-মরিচ গুড়ো করে আসছি। আমার মেশিন বিল্ডিংয়ের ভিতর। হলুদ মরিচের ঝাঁঝালো গন্ধ বাইরে ছড়ায় না। শাহজাহান পাহলানের মেশিনগুলো জড়াজীর্ণ টিনের ঘরে স্থাপন করায় ঝাঝালো গন্ধ বাইরে ছড়িয়ে পরে। এতে মানুষ চড়ম ভোগান্তির শিকার হয়।

এব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার চিন্ময় হাওদার জানায়, ঘন জনবসতি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হলুদ-মরিচ গুড়োর মেশিন স্থাপনের কারনে শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষের এলার্জি, শ্বাস কস্ট, স্কিন সমস্যাসহ শরীরের নানা উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় হলুদ-মরিচ গুড়োর মেশিন স্থাপন কওে পৌরবাসী এবং জনসাধারণের ক্ষতিসাধন করা বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি, তবে এবিষয়ে পৌর সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের মাধ্যমে জনস্বার্থে মেশিন স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর