পাবনায় অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধূ মারা গেছেন

পাঁচদিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের দেয়া আগুনে দগ্ধ পাবনার আমিনপুরের গৃহবধূ শজি খাতুন (৩০)।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মারা যান তিনি।

এর আগে গত ৯ মে ভোররাতে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্বাশুড়ী-ননদরা। আমিনপুর থানা পুুুলিশ মৃৃৃৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত শজি খাতুন বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার তালিমনগর গ্রামের ছুরমান মন্ডলের স্ত্রী।

এর আগে গত ৯ মে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসাপাতাল, পরে ঢামেকে স্থানান্তর করা হয়েছে।

আমিনপুর থানা সূূূূত্রে জানা যায়, ছুরমান মন্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে তার বোন সামেলা খাতুনের একাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন তার ভাবী শজি খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ী-ননদদের সাথে কলহ দেখা দেয় শজি খাতুনের।

৯ (মে ২০১৯) বৃহস্পতিবার ভোরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ী শরীফা খাতুন, ননদ সামেলা খাতুন ও ভাসুরের বউ কাঞ্চন খাতুন সহ অন্যান্যরা মিলে কেরোসিন তেল সজি খাতুনের শরীরে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে অবস্থার গুরুতর হওয়ায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুকে দুুপরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ননদ সামেলা খাতুনকে আটক করে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

অামিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সুজির মৃত্যুর খবর শুনেছি। ঘটনার দিনই আমিনপুর থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা হয়েছে। একজন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদেরও দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর