চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সাভারে অটোরিকশা চালকদের অবস্থান ধর্মঘট

ঢাকার সাভারে চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে অটোরিকশা চালকেরা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সাভার নিউ মার্কেট চাঁপাইন হয়ে দেওগাঁ রুটে চলাচলরত প্রায় ১০০ অটোরিকশা চালকেরা প্রভাবশালীদের নাম বলে প্রতি অটো থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা তোলার অভিযোগ তুলে এই ধর্মঘট পালন করেন।

সরেজমিন গিয়ে অটো চালকদের সাথে কথা বলে এই অব্যাহত চাঁদাবাজির বিষয়টি জানা যায়। গণমাধ্যমের সামনে এসময় চালকেরা অভিযোগ করেন এই ১০০ টাকা চাঁদা না দিলে তারা মারধরের শিকার হচ্ছেন।

মোঃ জিন্নাত নামের এক চালক বলেন, এই রুটে প্রতিদিন প্রায় ১০০টির মতো অটো চলাচল করে। মোবারক হোসেন পলক নামের এক ব্যক্তি এই রুট ‘ডাক’ নিয়েছে বলে আমাদের থেকে প্রতিদিন অটো প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা নিচ্ছে।

মোঃ জহির এবং মোঃ দুখন নামের আরও দুই অটোচালক একই অভিযোগ করে বলেন, সারাদিন কঠোর পরিশ্রম করে আমরা ৫০০/৭০০ টাকা আয় করি। কিছু অংশ মালিককে দিয়ে যা থাকে তার থেকে পলক নামের এই লোককে ১০০ টাকা চাঁদা দেয়াটা আমাদের উপর জুলুম হয়ে যায়। আবার এই টাকা না দিলে আমাদেরকে পলকের লোকজন মারধর ও অপমান করে।

গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে এসময় অবস্থান ধর্মঘট রত অটোচালকেরা সকলে সমস্বরে ” মুক্তি চাই মুক্তি চাই, চাঁদাবাজির থেকে মুক্তি চাই” শ্লোগান তুলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং এই অব্যাহত চাঁদাবাজি থেকে মুক্তি পাবার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

বিষয়টি জানতে চেয়ে মুঠোফোনে অভিযুক্ত মোবারক হোসেন পলকের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ” এরকম কেউ প্রমাণ করতে পারলে সাভার ছেড়ে চলে যাবো।” তবে তার চাঁদাবাজির ব্যাপারে এই রুটে চলাচলরত চালকেরা সাভার সদর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অবস্থান ধর্মঘট করে এব্যাপারে ভিডিও বক্তব্য দিয়েছেন জানালে পলক বলেন, “তাই নাকি? আমাকেও চেয়ারম্যান সোহেল ভাই ফোন দিয়ে এব্যাপারে জানতে চেয়েছেন, আমি এর সাথে জড়িত নই জানিয়ে দিয়েছি তাকে।”

তিনি রাজনীতির সাথে জড়িত কিনা এবং তার কোনো পদ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করলে মোবারক হোসেন পলক নেতিবাচক জবাব দিয়ে বলেন, আমার পোষ্ট নাই কোনো তবে অনেক শত্রু আছে। তারাই আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মোবারক হোসেন পলক এর বিরুদ্ধে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে আসছেন বলেও অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এব্যাপারে সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ বলেন, সাভার মডেল থানার ভিতরে কোন প্রকার চাঁদাবাজি চলবে না। এবিষয়ে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপনার থেকে বিষয়টি জানলাম, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর