পাবনায় স্বামীকে খুন করে আত্মহত্যার নাটক ফাঁস

পাবনার আতাইকুলা থানার চড়াডাঙ্গা গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আওয়াল (৩৫) হত্যা মামলায় স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

হত্যাকাণ্ডের প্রায় পাঁচ মাস পর এ ঘটনার রহস্য ফাঁস হয়ে যায়। পরকীয়া প্রেমিককে নিয়ে প্রবাসী স্বামীকে খুন করা হয়। হত্যা করার পর ঘটনার নাটক সাজাতে প্রবাসীর গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের চালার সাথে বেধে রাখে তারা।

শনিবার (১১ মে) সকালে সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর থেকে এ ঘটনায় জড়িত স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন নিহতের স্ত্রী খাদিজা বেগম গোলাপী (৩১), শ্বশুর গোলজার হোসেন গোলাই (৬৬) ও শাশুড়ি ভানু বেগম (৫৭)। পরকীয়ার জের ধরে ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে প্রবাসী আব্দুল আওয়াল শ্বশুরবাড়িতে খুন হন।

খাদিজার পরকীয়া প্রেমিক শামীমসহ মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান পিবিআই।

নিহত আব্দুল আওয়ালের বাবা তোফাজ্জল হোসেন জানান, তার ছেলে দেশের বাইরে থাকত। তার পুত্রবধূ খাদিজা বেগম গোলাপী এ সুযোগে শামীম হোসেন নামের এক ছেলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ২০১৮ সলের ১০ ডিসেম্বর তার ছেলে বাড়ি আসে। ১৬ ডিসেম্বর সে শ্বশুরবাড়িতে যায়। ওই দিনই তার পুত্রবধূ, পুত্রবধূর প্রেমিক ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিলে তার ছেলেকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়ার জন্য তার মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে তারা।

এ ঘটনায় বাদী হয়ে প্রথমে আতাইকুলা থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা। কিন্তু মামলার তদন্ত ঠিকমতো না হওয়ায় তিনি মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তরের আবেদন জানান। পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশে পিবিআই নতুন করে তদন্ত শুরু করে। অবশেষে হত্যাকাণ্ডের রহস্য ফাঁস হয়ে যায়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই সবুজ বলেন, দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোর রাতে প্রবাসী হত্যাকাণ্ডে জড়িত স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর