নীলফামারীতে বিষ প্রয়োগে কৃষকের শতাধীক হাঁস নিধন

নীলফামারীর ডিমলায় এক কৃষকের খামারীতে বিষ প্রয়োগ করে শতাধিক হাসঁ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে ডিমলা উপজেলা উত্তর তিতপাড়া (সোনাবেচা) গ্রামে মৃত আব্দুল সাত্তারের পুত্র সফিকার রহমানের খামারে পূর্ব শত্রুতা বসত বিষ প্রয়োগ করে শতাধীক হাঁস নিধন করে একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র লিজু ইসলাম। দুপুরে খামারী সফিকার রহমান বাড়ীরে পাশে হাঁসের খামারে খাদ্য দিয়ে বাড়ীতে কাজ করতে যায়। এই সুযোগে লিজু ইসলাম টেরাছেল নামক বিষ হাসেঁর খাবারে মধ্য মিশিয়ে দেয়।

লিজুর বিষ মেশানো খাবার খেয়ে খামারের হাঁস মরতে শুরু করলে খাবারের সাথে বিষ মেশানোর বিষয়টি বুঝতে পেরে সফিকার ও তার লোকজন লিজুকে বিষ সহ আটক করে। লিজুকে আটকের সংবাদ পেয়ে লিজু পরিবারের লোকজন লিজু কে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে এসে সফিকার সহ তার লোকজনকে মারপিট করে লিজুকে লইয়া যায়। লিজুর লোকজনের মারপিটে সফিকার (৫৫) ও তার ছেলে সবুজ ইসলাম (২২) আহত হলে তাদের কে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরবর্তীতে খামারের প্রায় শতাধিক হাঁস বিষ প্রয়োগের কারণে মারা যায়।

খামারী সফিকার রহমান সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন, আমার সহায় সম্মল বলতে এই হাঁস গুলো ছিল। এ গুলো দিয়ে আমার সংসার চলে আসছিল। শত্রুতা বসত বিষ প্রয়োগে হাস গুলো মারার কারণে অপূরনীয় ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে আমাকে পথে বসতে হবে। আমি এ ঘটনার সুষ্ট বিচার চাই।

লিজু ইসলাম এই প্রতিবেদকে বলেন, হাসঁ মারার ঘটনা সম্পর্ন মিথ্যা। তারা হাঁস গুলো নিজেরাই মেরে আমাকে ফাঁসাতে চাচ্ছেন। তারা উল্টো আমাকে রাস্তায় পেয়ে মারপিট করেছেন।

ডিমলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, হাঁসের খামারী সফিকার মৃত্য হাসগুলো নিয়ে থানায় এসেছে। তিনি ১২জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর