ধামরাইয়ে এ্যাডভোকেট পলাশ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে হিন্দু মহাজোটের মানব বন্ধন

এ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায়কে পঞ্চগড় জেলা কারাগারের ভিতর তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে হত্যা করার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১১টায় মানব বন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনটি ধামরাই উপজেলা চত্বরে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট, ধামরাই উপজেলা শাখার উদ্যোগে সম্পন্ন হয়।

এসময় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য ও ঢাকা জেলা জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি রনজিত কুমার পাল (বাবু) উপস্হিত ছিলেন।

ধামরাই উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সভাপতি খগেশ চন্দ্র রাজবংশীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা হিন্দু মহাজোটের সাধারন সম্পাদক সুব্রত পাল, পৌর সভাপতি হারাধন চক্রবর্তী, পৌর সাধারন সম্পাদক বিপ্লব পাল, পৌর যুব হিন্দু মহাজোটের সভাপতি সন্তোষ বণিক, উপজেলা যুব হিন্দু মহাজোটের সাধারন সম্পাদক মনোরঞ্জন ধর, পৌর ছাত্র মহাজোটের সভাপতি উজ্জল দাস, ধামরাই পৌর যুব হিন্দু মহাজোটের প্রচার সম্পাদক লিটন সরকার প্রমূখ।

এসময় বক্তাগন বলেন, এ্যাডভোকেট পলাশ কুমার রায় একজন সৎ আদর্শবাণ ব্যক্তি ও অন্যায়ের সাথে আপোষহীন ছিলেন। কোহিনূর কোম্পানীতে লিগ্যাল এ্যাডভাইজার হিসেবে থাকাকালে ভূয়া দলিল পত্র দিয়ে ব্যাংক থেকে ঋন নেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন তিনি। এসময় তাকে চাপ দিয়ে মিথ্যা ডকুমেন্ট তৈরী করতে বাধ্য করার চেষ্টা করলে কোম্পানীর অনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাংককে অবহিত করেছিলেন বিধায় সেই সময় তাকে গুম করার চেষ্টা করা হয়েছিল। পরে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

বক্তাগণ আরও জানান, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা আমরা দেখিনি। নির্যাতন নিপিড়ণে হিন্দু সম্প্রদায় আজ দিশেহারা। কারাগার একটি নিরাপদ জায়গা, সেখানেও যদি মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হতে হয় তাহলে আর নিরাপদ জায়গা কোথায়?

বক্তাগন পলাশ হত্যাকান্ডে জড়িতদের ৩ দিনের মধ্যে গ্রেফতার সহ দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করার দাবী জানান।

প্রসঙ্গত, তিনি গত উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার প্রার্থী ছিলেন।সেখান আওয়ামী লীগ প্রার্থী পক্ষের লোকেরা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কুটুক্তির মিথ্যা অভিযোগে পুলিশ তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে।

পরে গত ২৬ এপ্রিল সকালে কারা অভ্যন্তরে দুই ব্যক্তি টয়লেটের কাছ থেকে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকার শুনে কারা রক্ষীরা এসে আগুন নিভিয়ে ফেললেও ততক্ষণে তার দেহের বেশীর ভাগ অংশ পুড়ে যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্হায় তাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরন করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর