শেরপুরে নেসকোর খেলায় জনজীবন অতিষ্ঠ

বগুড়ার শেরপুরে একদিকে বৈশাখের খরতাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার খেলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। পল্লী বিদ্যুত কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও নর্দান ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী(নেসকো)’র লীলা খেলায় শহরবাসি। সরকারি হিসাব মতে সারাদেশে বিদ্যুতের কোন ঘাটতি না থাকলেও লোডশেডিং-এর অব্যাহত যন্ত্রনায় দুঃসহ হয়ে উঠছে শেরপুরবাসীর জীবন। সময়-অসময়ে দেখা দিচ্ছে বিদ্যুৎ স ালন লাইনে ত্রুটি। বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে সাধারণ মানুষকে দুঃসহ গরমে দিন-রাতই লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে।

এদিকে যখন বিদ্যুৎ থাকেনা এমন সময় বিদ্যুৎ বিভাগের অফিশিয়াল ল্যান্ড ফোন ব্যস্ত করে রাখা হয়। আবার রিসিভ করলেও দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের। প্রচন্ড তাপদাহ যত তীব্র হয়, বিদ্যুতের লোডশেডিং যেন ততই পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে। দিনে কয়েক ঘণ্টাব্যাপী লোডশেডিং দিয়ে শুরু হয়। সন্ধ্যার পরে দ্বিতীয় ধাপে আর রাতে চলে আসা যাওয়ার পালাক্রম যা শেষরাত পর্যন্ত চলে। তাছাড়া ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে বিদ্যুৎ সংকটের ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শেরপুর উপজেলার এইচএসসি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, ছোট-বড় কলকারখানাসহ বিদ্যুৎ নির্ভরশীল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো, অফিশিয়াল কার্যক্রম, হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা সেবা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

সৈয়দা কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও শেরপুর ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সভাপতি আব্দুল হালিম খোকন বলেন, কারনে অকারনে বিদ্যু লোডশেডিং দেখা দিচ্ছে এ ব্যাপারে অফিসে যোগাযোগ করলে আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচারণ করে। বৈশাখের খরতাপ অন্যদিকে বিদ্যুতের আসা যাওয়ার কারণে ক্রেতা মার্কেটমুখি হচ্ছেনা। আমরা বসে বসে দিন পার করছি। মোবাইল মেকার মিঠু জানান, বর্তমান ডিজিটাল যুগ, প্রায় সকল কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটারে কিন্তু ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সঠিকভাবে মালামাল ডেলিভারীর দিতে পারছিনা না।

ভুক্তভোগি শাহিন জানান, এক ঘণ্টা পরপর ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাচ্ছে। ইলেক্ট্রিসিটি থাকলেও ভোল্টেজ ওঠানামা করায় ফ্রিজ ও খাদ্য সামগ্রী নষ্টসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। লোডশেডিংয়ের ফাঁদে পড়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। তবে শেরপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ার পেছনে বরাদ্দকৃত মেগাওয়াটের বিপরীতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় বিদ্যুৎ অফিসের অসাধু শ্রেনীর কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীরাই দায়ি বলে দাবী করছেন সচেতন মহলসহ ভুক্তভোগীরা।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হলেও চরম ভোগান্তিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। নেসকো’র শেরপুর উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদ হাসানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এবং অফিসে না গেলে কোন তথ্য দেয়া হবেনা বলে জানান।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর