নার্স তানিয়ার ধর্ষণকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্ঠা পুলিশের

কিশোরগঞ্জে চলন্ত বাসে নার্স শাহীনুর আক্তার তানিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার পর কটিয়াদী থানার এসআই পার্থ ঘোষ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় ছিলেন বলে অভিযোগ করেছে স্বজনরা।

তারা জানান, তানিয়ার লাশ কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর এসআই পার্থ সেখানে গিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের কাছে তানিয়াকে মানসিক ভারসাম্যহীন হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে তানিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্তের আগে পার্থ আসামিদের পক্ষ নিয়ে ময়নাতদন্ত কমিটির কাছেও একই প্রচেষ্টা চালান বলে অভিযোগ তানিয়ার স্বজনদের।

তানিয়ার বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তানিয়া নিহত হয়ে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে আছে খবর পেয়ে আমরা পরিবারের সদস্যরা ওই হাসপাতালে যাই। তখন কটিয়াদী থানার এসআই পার্থ ঘোষ বারবার জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎককে বলেছে, আমার মেয়ে বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন। এমনকি তাকে পাগল বলে ঘটনাটি অন্য খাতে নেওয়ার চেষ্টা করে সে। কিন্তু আমাদের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনের শক্ত প্রতিবাদে সে তখন কিছুটা থেমে যায়।

তিনি আরও বলেন, ‘পার্থ কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের আগেও আসামিদের পক্ষ নিয়ে একই কথা বলে। তখনো একইভাবে আমরা প্রতিবাদ করি।নিহত তানিয়ার চাচা মুর্শেদ উদ্দিন বলেন, এসআই পার্থ বারবার ঘটনা অন্য খাতে নিতে আসামিদের পক্ষে সাফাই গান। সে প্রতিটি জায়গায় আমাদের শাসানোর চেষ্টা করে এবং বলে, তানিয়া গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়ে ছিল। কিন্তু তানিয়া কেন লাফ দেবে সে প্রশ্নের উত্তর সে বরাবরই এড়িয়ে যায়। এই নিয়ে তার সঙ্গে আমাদের কয়েকবারই কথা কাটাকাটি হয়।’

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, এসআই পার্থই আমাকে প্রথম বিষয়টি জানায়। তার এমন করার কথা নয়। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। যদি তানিয়ার পরিবারের কথা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর