পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় ছলিমপুর ইউনিয়নের খড়ের দাইড় এলাকার এরশাদ মোড়ের ছোট সেতুটি (টেপাগাড়ি কোলের মুখে) ভেঙে চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়েছে। যেটা দেখার কেউ নেই। প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে পথচারিরা।
ওই এলাকার ভারী যানবাহনসহ অন্তত কয়েক’শ যানবাহন চলাচল করছে। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সেতুটি পুনঃনির্মাণ দাবি করেছেন এলাকাবাসী, যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুরের এই এলাকাটি সবজি, লিচু প্রধান অঞ্চল। এ ছাড়া ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়াস্থ পাবনা সুগার মিলের আখচাষের অন্যতম এলাকা। পদ্মা নদীর এক সময়ের চুড়িমালার ঘাট নামের এই বিশাল কোলটি পানিতে পরিপূর্ণ থাকতো। বিগত তিন দশক আগেও পানিতে কোলটি টইটুম্বুর থাকতো। এই এলাকায় কৃষিপণ্য আনা-নেওয়া ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের চলাফেরার জন্য কোলের টেপাগাড়ি মুখে একটি সেতু নির্মাণের প্রয়োজন দেখা দেয়।
জনগণের দাবির মুখে ১৯৮৩-৮৪ অর্থ বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) সহযোগিতায় ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭১৪ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে সেতুর সংযোগ রাস্তাটি চরম ব্যস্ততম রাস্তায় পরিণত হয়েছে। সেতু সংলগ্ন পাড়ার সিরাজ জানান, এই সেতুটি অনেক বছর আগে এখানে নির্মাণ করা হয়েছে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ১০ চাকাওয়ালা ট্রাকসহ ছোট বড় অন্তত কয়েক শত যানবাহন চলাচল করছে। সেতুটি চারিদিকে ভেঙে গেছে। বড় বড় ফাটলের মধ্যে দিয়ে নানা রকম গাছ গজিয়েছে। সেতুটি যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তাই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা উচিত।
এলাকাবাসী ছাব্বির, অাকাশ, জুয়েল জানান, সেতুটি এই অঞ্চলের ছয়টি গ্রামের সংযোগ। সেতুটি ভেঙে পড়লে এই গ্রামবাসীদের অন্তত ৮-১০ কিলোমিটার ঘুরে চলাফেরা করতে হবে। সেতুটি নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
ছলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা জানান, সেতুটির অবস্থা এতোটা খারাপ জানতাম না। অনেক পুরনো হয়ে গেছে। সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করার জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীকে অফিসে যোগাযোগ করা হবে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী ঈশ্বরদী অফিসের প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য চাহিদা পত্র জরুরি ভিত্তিতে প্রেরণ করা হবে।