গৃহবধুকে কেরোসিন তেলে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টা

পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার আমিনপুরে পারিবারিক কলহের জেরে শজি খাতুন (৩৩) নামের এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গৃহবধুর ননদ সামেলা খাতুন (৪২) কে আটক করেছে পুলিশ।

অাজ বৃহস্পতিবার ৯ (মে ২০১৯) ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসাপাতাল, পরে ঢাকা মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়েছে। আটক সামেলা উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের তালিমনগর গ্রামের কোকিল সরদারের স্ত্রী। আর অগ্নিদগ্ধ শজি খাতুন একই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী ছুরমান মন্ডলের স্ত্রী।

আমিনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মমিনুল ইসলাম জানান, ছুরমান মন্ডল কয়েক বছর ধরে মালয়েশিয়া থাকেন। সেখান থেকে তিনি প্রতি মাসে তার বোন সামেলা খাতুনের একাউন্টে টাকা পাঠান। ননদ সামেলা খাতুন প্রতি মাসে মাত্র ৩ হাজার টাকা করে দেন তার ভাবী শজি খাতুনকে। কিন্তু অল্প টাকায় সংসার চালানো সম্ভব না হওয়ায় শাশুড়ী-ননদদের সাথে কলহ দেখা দেয় শজি খাতুনের।

বৃহস্পতিবার ভোরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শাশুড়ী শরীফা খাতুন, ননদ সামেলা খাতুন ও ভাসুরের বউ কাঞ্চন খাতুন সহ অন্যান্যরা মিলে কেরোসিন তেল সজি খাতুনের শরীরে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে অবস্থার গুরুতর হওয়ায় অগ্নিদগ্ধ গৃহবধুকে দুুপরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ননদ সামেলা খাতুনকে আটক করে। জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. গৌতম কুমার জানান, আগুনে গৃহবধুর শরীরের পঞ্চাশ ভাগের বেশি পুড়ে গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর