ধর্ষণে ব্যর্থ বখাটে, কামড়ে জখম করলো মা-মেয়েকে!

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক কিশোরী ও তার মাকে কামড়ে জখম করেছে এক বখাটে। এই ঘটনার পর আহত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

গত শনিবার (০৪ মে) বিকেলে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামে নির্মম এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ভূক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, তার মেয়ে পাথরঘাটার একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী তানভীর তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছে। একপর্যায়ে ছাত্রীর বাবা তানভীরের বাবার কাছে ছেলের এসব ঘটনা জানিয়ে অভিযোগ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার বিকেলে তানভীর ঘরে ঢুকে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রীর মা পাশের বাড়ি থেকে এসে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তানভীরকে জুতাপেটা করে। তখন ছাত্রী ও তার মায়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে জখম করে পালিয়ে যায় তানভীর। পরে ছাত্রীর বাবা এসে তাদের পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ বিষয়ে ছাত্রীর বাবা বলেন, এই ঘটনার পর চারদিন চিকিৎসা শেষে বুধবার পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি করে। পরে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার মামলা না নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতো।

পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাসিমুল হক খান বলেন, গত ৪ মে ওই কিশোরী ও তার মা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের ভর্তি করা হয়। ৮ মে পর্যন্ত তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাদের উভয়েরই শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের জখম ছিল।

মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মজিবুল হক কিসলু বলেন, আলামত, স্বাক্ষ্য প্রমাণ ও চিকিৎসকের রিপোর্টে ঘটনার সত্যতা রয়েছে। বাদী হলফনামার মাধ্যমে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছি।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন বলেন, আমি এরকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ ও মামলার কপি হাতে পাইনি। মামলার কপি হাতে পেলে ব্যবস্থা নেব।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর