ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো দিল্লি!

ম্যাচটা প্রায় মুঠো ফসকে যাচ্ছিল দিল্লি ক্যাপিটালসের। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে প্রথমে খলিল আহমেদ ও পরে রশিদ খান লাগাম টেনে ধরেছিলেন দিল্লির। তবে দলটির ছিলেন একজন রিশভ প্যান্ট। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে ক্যাপিটালসকে আইপিএলের দ্বাদশ আসরের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে তুলেছেন তিনি।

অরেঞ্জ আর্মিদের ২ উইকেটে হারিয়েছে শ্রেয়াস আয়ার বাহিনী। এরই সঙ্গে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেল হায়দরাবাদ। আর মাল্টি মিলিয়ন ডলারের লিগে ফাইনালের আশা বেঁচে রইলো দিল্লির। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে হলে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে হবে তাদের। ১৭ ওভার শেষে জয়ের জন্য দিল্লির দরকার ছিল ৩৪ রান। সমীকরণটা মোটেও সহজ ছিল না। তবে তা মিলিয়ে দেন প্যান্ট। ১৮তম ওভারে আসে ২২ রান। থাম্পির ওই ওভার থেকে তিনি একাই নেন ২১ রান।

শেষদিকে টার্নিং পয়েন্টে ২১ বলে ৪৯ রানের ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলে ফেরেন প্যান্ট। জয় তখন হাতছোয়া দূরত্বে। বাকি কাজটুকু সারেন কিমো পল ও অমিত মিশ্র। ২ উইকেটের শ্বাসরূদ্ধকর জয় নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন তারা।

বুধবার বিশাখাপত্তনমে টস জিতে হায়দরাবাদকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান দিল্লি অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার। শুরুটা শুভ হয় অরেঞ্জ আর্মিদের। ওপেনিং জুটিতে আসে ৩১ রান। ঋদ্ধিমান সাহাকে সাজঘরে পাঠিয়ে ভারতের রাজধানীর দলটিকে প্রথম সাফল্য এনে দেন ইশান্ত শর্মা।

পরে হায়দরাবাদের হাল ধরেন মণীশ পান্ডে। যোগ্য সমর্থন পান মার্টিন গাপটিলের কাছ থেকে। দারুণ খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎই খেই হারান গাপটিল। ব্যক্তিগত ৩৬ রান করে অমিত মিশ্রর শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। এরপর খেলা ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পান্ডের কাছ থেকে ভালোই সাপোর্ট পাচ্ছিলেন তিনি। তবে আচমকা থেমে যান এ ব্যাটার। কিমো পলের বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন ৩০ রান করে।

খানিক বাদেই হার মানেন উইলিয়ামসন। দলীয় ১১১ রানে শর্মার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ২৮ রান করে ফেরেন অধিনায়ক। বাকি সময়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিজয় শংকর। ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হওয়ার আগে তিনি করেন ২৫ রান। তবে পরক্ষণে মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও রানটা বাড়িয়ে নিতে পারেননি টেলএন্ডাররা। তারা আসেন আর যান।

শেষদিকে যা একটু চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নবী। ২০ রান করে পলের দ্বিতীয় উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন পল। ২ উইকেট শিকার করেন ইশান্ত শর্মা।

রান তাড়া করতে নেমে অনবদ্য খেলেন পৃথ্বী শ। ৩৮ বলে ৫৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। তাতে মনে হচ্ছিল খুব সহজেই ম্যাচটা বের করে ফেলবে দিল্লি। কিন্তু পরিস্থিতি কঠিন করে তোলেন খলিল ও রশিদ।

পরে প্যান্ট এসে পাল্টা মার দেয়া শুরু করেন। এতে দিল্লির বুক থেকে চাপ কমে যায়। অবশ্য শেষ ওভারে অবস্থা ঘোলাটে করে ফেলছিল দিল্লি। তবে ক্রিকেটদেবী সহায় হওয়ায় ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি সৌরভ গাঙ্গুলির শিষ্যদের।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর