বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমদের দেশে ফেরা আবার অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।ভারতের শিলংয়ে অনুপ্রবেশের মামলায় ছয় মাস আগে সেখানকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রায়ে বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন তিনি।
সেই রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৭ এপ্রিল আপিল করেছে দেশটির রাষ্ট্রপক্ষ। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয় থেকে আপাতত বাংলাদেশে ফিরতে পারছেন না সালাউদ্দিন।গত ১ মে বুধবার বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমতে সালাউদ্দিন আহমদ তার মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিষয়ে এসব কথা জানান।
গত বছরের মামলার রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ আপিল সম্পর্কে সালাউদ্দিন আহমদ জানান, নিম্ন আদালতের রায়ে খালাস পাওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরতে ছাড়পত্রের জন্য শিলংয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। গত ২৭ এপ্রিল ডাকযোগে আপিল আদালতের নোটিশ পেয়ে বুধবার আদালতে হাজির হয়েছি। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল নিয়ে শুনানির নতুন তারিখ এখনো পাইনি।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৬ অক্টোবর অনুপ্রবেশের মামলা থেকে সালাউদ্দিন আহমদকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছিলেন আদালত।মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ায় আদালত তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
রায়ের পর তার আইনজীবী এস পি মোহান্ত বলেছিলেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত হয়েছে সালাউদ্দিন আহমেদ নির্দোষ। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। কাজেই তাকে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে কোনো বাঁধা নেই।গত বছর ভারতে নির্বাসিত বিএনপির এই নেতা গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ‘স্বেচ্ছায় ভারতে আসিনি আমি। আর এটা প্রমাণ করে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরতে চাই।
প্রসঙ্গত বিনা পাসপোর্টে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটির ফরেনার্স অ্যাক্ট-১৯৪৬ অনুযায়ী ২০১৫ সালের জুলাইতে সালাউদ্দিন আহমদের বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ মামলা করেছিল।
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংএ ২০১৫ সালের ১১মে সকালে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে তাকে উদ্ধার করা হয়। তার ঠিক দু মাস আগে মার্চের শুরুতে ঢাকার উত্তরা থেকে ‘অপহৃত হন’ তিনি।এ বিষয়ে সালাউদ্দিন দাবি করে এসেছেন, অচেনা অপহরণকারীরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর তিনি নিজেকে ভারতের শিলংয়ে খুঁজে পান। কীভাবে শিলং এসেছিলেন সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে বরাবরই জানিয়ে আসছেন তিনি।