অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ।। সাভার ইউনিয়ন পরিষদ, ঢাকা

রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলার সাভার ইউনিয়ন পরিষদ। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সাভার এর নিকট তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে সেই তথ্যের সরেজমিন যাচাইকালে এই ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের নিকট গিয়ে আরও নতুন তথ্য পাওয়া যায়।

২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা-উন্নয়ন) সাধারণ (১ম পর্যায়) কর্মসূচিতে সাভার ইউনিয়নের জন্য মাত্র একটি প্রকল্পে ৩.৩৪৯ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য (চাল) বরাদ্দ আসে। প্রকল্পটি হলো কলমা স্কুলপাড়া কবরস্থানে মাটি ভরাট।

প্রকল্প স্থানে এই প্রতিবেদক গিয়ে এবং প্রকল্প স্থানের সাথে বসবাসরত এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানতে আরেন, এই প্রকল্পের কাজ কিছুই করা হয়নি। পরে এব্যাপারে সাভার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করতে গিয়ে তিনি একটি বিচার কাজে ব্যস্ত থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে সাভার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মোঃ মহসিন মিয়ার নিকট এই প্রকল্পের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আসলে এই অর্থবছরের কোনো কাজই আমরা এখনও পর্যন্ত করতে পারি নাই। আমাদের উপজেলা পরিষদের নতুন চেয়ারম্যান সদ্য নির্বাচিত হয়েছেন। আর এই সংক্রান্ত আরও কিছু জটিলতার কারণেই কাজগুলি শুরু হয়নি। তবে উপজেলার নতুন চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন, এখন প্রকল্পগুলি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।

উল্লেখ্য,২০১৮ ইং এর জুন থেকে ২০১৯ ইং সালের জুন পর্যন্ত এই অর্থবছর। চলতি মাস সহ আর মাত্র একটি মাস হাতে রয়েছে। এই দুই মাসের ভিতরে এই অর্থ বছরে প্রাপ্ত বরাদ্দ সময়সীমার ভিতরে সম্পন্ন করা সম্ভব কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন এলাকার সচেতন মহল।

তবে সাভার ইউনিয়নের কলমা এলাকায় গিয়ে ২০১৭-২০১৮ ইং অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান এর একটি প্রকল্পের কাজ চলছে দেখা গেছে। এই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবুল হোসেন এবং ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ আরিফ হোসেনের তত্বাবধানে ৪০ দিনের একটি প্রকল্পের কাজ চলছে।

৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আবুল হোসেনের সাথে প্রকল্প স্থানে গিয়ে কথা বলে জানা যায়, কলমা সুফিয়ার বাড়ি থেকে পাবনার রাজুর বাড়ি পর্যন্ত মাটির নতুন রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে। মোট ৯৩ জন হত দরিদ্র শ্রমিক মোট ৪০ দিনে এই প্রকল্পটির কাজ শেষ করবেন বলে জানান এই ইউপি সদস্য। প্রতিদিন প্রতি শ্রমিকের জন্য বরাদ্দ ২০০ টাকা। সেই হিসেবে এই প্রকল্পের মোট বরাদ্দ ৭,৭৬,০০০/- (সাত লক্ষ ছিয়াত্তুর হাজার টাকা)।

সরেজমিন প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, সরকারি বিধি মেনেই এখানে হত দরিদ্র শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। এখানে কোনো ‘ভেকু’ (খনন যন্ত্র) ব্যবহার করা হয়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর