রোজা রাখার ‍ উপকারিতা

রোজা হল একটি ইবাদত এবং মুসলমানের জন্য একটি অপরিহার্য ইবাদত। সুবেহ সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের পানাহার এবং জৈবিক চাহিদা থেকে বিরত থেকে রোজা রাখেন মুসলিমরা।

যারা রোজা রাখেন, তারা সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কিছুই মুখে দেন না। মুসলিমরা বিশ্বাস করেন, স্বেচ্ছা নিয়ন্ত্রণ আর বেশি সময় ধরে প্রার্থনার ভেতর দিয়ে মুসলমানরা এ মাসে নতুন করে আত্মশুদ্ধি অর্জনের চেষ্টা করেন।

আপাতদৃষ্টিতে রোজা সহজ-সরল একটি ধর্মীয় আচরণের বিষয়।রোজা হচ্ছে আত্মশুদ্ধির বিষয়। রোজা মানুষকে সব ধরনের খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে। কিন্তু এটি নিয়ে বেশকিছু ভুল ধারণা বিদ্যমান। যেগুলো নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।

অনেকেই মনে করেন রোজা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আবার অনেকে মনে করেন রোজা স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। রোজা রাখা কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন ড. মাহরুফ। তিনি বলেন, রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো, তবে অবশ্যই একটা ব্যাপার আছে।

ড. মাহরুফ বলেন, রোজা রাখা শরীরের জন্য ভালো কারণ আমরা কী খাই এবং কখন খাই সেটার ওপর আমাদের মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। কিন্তু এক মাসের রোজা রাখা হয়তো ভালো। কিন্তু একটানা রোজা রেখে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া যাবে না।

তিনি বলেন, শরীরের ওজন কমানোর জন্য একটানা রোজা রাখা ঠিক নয়। কারণ একটা সময় আসবে যখন আপনার শরীর চর্বি গলিয়ে তা শক্তিতে পরিণত করার কাজ বন্ধ করে দেবে।

এর ফলে শরীর শক্তির জন্য নির্ভর করবে মাংসপেশির ওপর। এটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। কারণ আপনার শরীর তখন ক্ষুধায় ভুগবে। ড. মাহরুফের পরামর্শ হচ্ছে, রমজান মাসের পর মাঝেমধ্যে অন্য ধরনের উপোস করা যেতে পারে। যেমন ৫:২ ডায়েট (পাঁচদিন কম খেয়ে দুদিন ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করা)। যেখানে কয়েকদিন রোজা রেখে আবার স্বাস্থ্যসম্মতভাবে খাওয়া-দাওয়া করা যেতে পারে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর