টাঙ্গাইল র্যাব অফিসের একশ গজ উত্তরে আনসার ক্যাম্পের সামনে স্টেডিয়াম মার্কেটের দ্বিতীয় তলার পূর্ব সাইডে তিনটি কক্ষে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর। প্রতিদিন বিকাল থেকে শুরু হওয়া জুয়ার আসরে চলে বিভিন্ন ধরনের জুয়া।
রাত দশটার পর দু’টি কক্ষের সার্টার লাগিয়ে চালানো হয় ওয়ান টেন বোড। সেখানে সর্বনিম্ন এক হাজার থেকে শুরু করে পঞ্চাশ লাখ টাকা পর্যন্ত খেলা চলে। খেলার সাথে চলে নেশার আড্ডা। এ কারণে এ এলাকায় প্রতিনিয়ত সন্ধ্যার পর ঘটছে ছিনতাই ও চুরির সহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যক্রম। ঘটছে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি।
সম্প্রতি জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) দক্ষিণ সদস্যরা শহরের আকুর-টাকুর পাড়া বটতলা এলাকার বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজ মার্কেটের তৃতীয় তলার “বটতলা ক্লাব” থেকে জুয়ার সরঞ্জাম সহ ৩২ জন বিভিন্ন বয়সের জুয়াড়ীদের গ্রেপ্তার করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে নিরাপত্তার স্বস্তি ফিরে আসে।কিন্তু সঙ্গত কারণে র্যাব ক্যাম্প সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে স্টেডিয়াম মার্কেটের দ্বিতীয় তলার পূর্ব সাইডে তিনটি কক্ষে প্রকাশ্যে চলছে জমজমাট জুয়ার আসর, আসররের কাউকে গ্রেপ্তার বা অভিযান চালাচ্ছেন না আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যে কারণে স্থানীয় আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শহরের বেবীস্ট্যান্ড এলাকার সাইফুল নামের এক প্রভাবশালী জুয়ারু এ জুয়ার আসনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, অতি সল্পমূল্যে তিনটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় দীর্ঘ দিন যাবৎ চালাচ্ছে রমরমা জুয়ার আসর। বিকেল থেকে শুরু হওয়া এ জুয়ার আসর চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। বিকেলে তাস, ফর সহ বিভিন্ন জুয়া চললেও রাত যতই বাড়ছে জুয়ার আসরে যোগ হয় ওয়ান টেন বোড সাথে চলে বিভিন্ন ধরনে নেশা। আর এ নেশার ঘোর কেটে গেলেই পুনরায় টাকার সন্ধানে বের হচ্ছে জুয়ারুরা। এ কারণে ঘটছে ছিনতাই ও চুরি সহ নানা অপরাধ মূলক কার্যক্রম।
বিশেষ করে সন্ধ্যার পর নেশাগ্রস্থ জুয়ারুদের ভয়ে কোন পথচারী ঐ এলাকা দিয়ে চলাচল করতে চরম সমস্যায় পরতে হচ্ছে। অথচ র্যাব অফিস সংলগ্ন মাত্র একশ গজ উত্তরে এ জুয়ার আসর হলেও অজ্ঞাত কারণে র্যাব সদস্যরা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না। স্থানীয়দের দাবী অচিরেই আবাসিক এলাকা থেকে এবং র্যাব অফিস সংলগ্ন এসব জুয়ার আড্ডা বন্ধ করে এলাকাবাসীর মধ্যে নিরাপত্তার স্বস্তি ফিরিয়ে আনার আহবান জানিয়েছেন পুলিশ সহ র্যাব প্রশাসনকে।
গোপনে সরাসরি গিয়ে জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী সাইফুল-এর কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কয়েকদিন আগে বটতলা ক্লাব থেকে জুয়ার সরঞ্জাম সহ ৩২ জনকে আটক ও শহরের অপর বড় একটি জুয়ার বোর্ড বন্ধ থাকায় জুয়ারুদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সায়েদুর রহমান জানান, বিষয়টি জানলাম দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।