একই পরিবারের ৩ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ভন্ড পীর গ্রেপ্তার

ঢাকার সাভারের আশুলিয়া একই পরিবারের মা, মেয়ে ও বোনসহ ৩ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ভন্ড পীরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী নারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক নারী বাদী হয়ে ভন্ড পীর ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

গত রোববার (৫ মে) রাতে ভন্ড পীর মো. মনির হোসেনকে আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার নিজ বাড়ি থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আস্তানা থেকে ওই তিন নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ এবং মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১০ বছর আগে প্রবাসীর স্ত্রী মুরীদ হন একই এলাকার ভন্ড পীর মনির হোসেনের আস্তানায়। ফলে ভন্ড পীরের দরবারে তাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিলো। এভাবে ভন্ড পীর মো. মনির হোসেন ধর্মের নানা অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিনিয়ত ধর্ষণ করে আসছিলো এই নারীকে। তারপর ভন্ড পীরের নজর পরে ওই নারীর ছোট বোনের উপর। বড় বোনকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে একই কায়দায় ছোট বোনকে মুরীদ করে নেয় ভন্ড পীর। এরপর তাকেও নিয়মিত ধর্ষন করে। এখানেই শেষ নয় সর্বশেষ বড় বোনের ১৩ বছরের কিশোরী মেয়েও রেহাই পায়নি এই ভন্ড পীরের কবল থেকে। তার মাকে নানা কৌশল করে বুঝিয়ে মেয়েও একই কায়দায় ধর্ষণ করতে শুরু করে।

উল্লেখ্য, ভন্ড পীরের আস্তানা আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকার ৫ তলা বাড়ির পঞ্চম তলায়। দীর্ঘদিন ধরে আস্তানা তৈরি করে নিজ বাড়িতেই এমন ভয়ংকর অপকর্ম চালিয়ে আসছিলো ভন্ড পীর।
সোমবার (৬ মে) দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশ এই তথ্য নিশ্চিত করেন। পরে তাকে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তারকৃত ভন্ড পীর মনির হোসেন আশুলিয়ার কুরগাঁওয়ের মৃত আ: রহিমের ছেলে। এ ঘটনায় ভন্ড পীরের মকবুল নামে এক সহযোগী পালাতক রয়েছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক দিপু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভন্ড পীরের আস্তানা থেকে কৌশলে বের হয়ে ছোট বোন আশুলিয়া থানায় অভিযোগ জানালে পরে অভিযান চালিয়ে ভন্ড পীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। নানা কৌশলে ভন্ড পীর তার নিজ বাড়ীতে আস্তানা তৈরি করে আরও একাধিক নারীকে ধর্ষণের তথ্য রয়েছে বলেও জানান এই চৌকস অফিসার ইনচার্জ ।