১৬ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি

১৬ বছর ধরে তারা বিনা বেতনে চাকরি করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। স্থায়ী চাকরির দাবিতে দুই দিন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিনা বেতনের এই কর্মচারীরা।

আজ রবিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত তারা বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেনের রুমের সামনে দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পরে আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা কর্মসূচি ছেড়ে যান। আগামীকাল সোমবার আবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা।

জানা যায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ২০০৩ সাল থেকে ড্রেসার, ওটি বয়, অফিস সহায়কসহ চতুর্থ শ্রেণির ৬৮ জন কর্মচারী বিনা বেতনে কাজ করছেন। তখন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরাও প্রকল্পের অধীনে ছিলেন। তাদের চাকরি রাজস্ব খাতে গেলেও চতুর্থ শ্রেণিদের চাকরি আর স্থায়ী হয়নি। ফলে তারা ১৬ বছর ধরে বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের অনিয়মিত কর্মচারী সমিতির সভাপতি জীবন মিয়া সবলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে আমি এখানে কাজ শুরু করেছি। আর অনেকেই ২০০৩ সাল থেকে কাজ করছে। এখানে যারা কাজ করছে তারা রোগীদের সামান্য কিছু বকশিশ পেয়ে থাকেন। তাদের কোনো বেতন নেই। ফলে এখান থেকে গিয়ে তাদের অন্য কাজ করতে হয়। এ ছাড়া জীবনের অর্ধেকের মতো সময় এখানে ব্যয় করেছি। কিন্তু চাকরি স্থায়ীকরণ হচ্ছে না।’

কেন চাকরি স্থায়ী হয়নি জানতে চাইলে জীবন মিয়া বলেন, ‘আউট সোর্সিং নীতিমালার কারণে আমাদের চাকরি স্থায়ী হয়নি। তবে আজ সামন্ত লাল সেন স্যার আমাদের বলেছেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি। কিছু সময় লাগবে। তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আমাদের সমস্যার সমাধান করবেন।

আন্দোলনকারীদের অবস্থান কর্মসূচিতে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী সমিতি, বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থন জানায়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বিনা বেতনে। আমিও চাই তাদের চাকরিটা হোক। আজ মন্ত্রীর সাথে, সচিবদের সাথেও কথা বলেছি। সরকার চায় তাদের আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিতে, আর তারা চায় স্থায়ীভাবে চাকরি করতে। আমি তো চেষ্টা করছি। অনেক উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপার, দেখা যাক কী হয়।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর