গুগলের পরিচালক কে এই বাংলাদেশি?

ইন্টারনেট জায়ান্ট গুগলের পরিচালক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ জাহিদ সবুর। গুগলে প্রায় ১ লাখ লোক কাজ করে। এরমধ্যে মাত্র ২৫০ জন আছে প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার। এই ২৫০ জন প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন জাহিদ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় জাহিদ নিজেই তার এ অর্জনের কথা জানিয়েছেন। কে এই জাহিদ? হতদরিদ্র একটি দেশে বেড়ে উঠে তিনি কীভাবে এতো বিশাল একটি পদে পৌঁছলেন? তার ব্যক্তিগত জীবনটাই বা কেমন?

গুগলের পরিচালক জাহিদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীতে। বাবা অধ্যাপনা করতেন সৌদি আরবের কিং ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাহিদের জন্মও সেখানে। আট বছর বয়স পর্যন্ত সৌদি কাটানোর পর পরিবারসহ নিজ দেশে চলে আসে জাহিদ। শুরুতে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হলেও পরবর্তীতে নেয়া হয় অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে।জাহিদ জানান, মুখস্ত বিদ্যায় একেবারেই লবডঙ্কা তিনি। ছোটবেলা থেকেই ব্যাডমিন্টন আর ক্রিকেট খেলতে খুব পছন্দ করতেন। ইলেকট্রোনিকস বিষয়ে ছিল ব্যাপক আগ্রহ। ছোট্ট বয়স থেকেই পড়াশোনার বদলে ইলেকট্রোনিক সার্কিট বানানোর দিকেই ছিল বেশি আগ্রহ। সার্কিট বানাতে গিয়ে ইলেকট্রিক শকও খেয়েছেন প্রচুর। ঝালাই করতে গিয়ে একবার মারাত্মকভাবে হাত পুড়িয়েও ফেলেছিলেন।

জাহিদ আরও জানান, ও লেভেলে ভালো রেজাল্ট করলেও এ লেভেলে খুবই খারাপ অবস্থা হয়েছিল। ওই রেজাল্ট নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়েই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে (এআইইউবি) ভর্তি হয়েছিলেন।জাহিদ গুগলে যোগ দিয়েছিলেন ২০০৭ সালে। পদ ছিল সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এরপরের গল্পটা শুধুই সাফল্যের। গুগলের অর্গানোগ্রামে দুটি শাখা। একটি ম্যানেজার অন্যটি ইঞ্জিনিয়ার। প্রমোশন পেতে পেতে কেউ সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার হতে পারেন। আবার ব্যবস্থাপনায় গেলে প্রমোশন পেয়ে সিনিয়র ম্যানেজারও হতে পারেন। জাহিদ ইঞ্জিনিয়ার তো হয়েছেনই, সঙ্গে ম্যানেজারও। মানে ইঞ্জিনিয়ারদের পরিচালক তিনি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর