পেকুয়ায় বেড়িবাঁধ সংস্কার করায় ঝুঁকিমুক্ত হাজারো মানুষ

ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট সামুদ্রিক অতিরিক্ত জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংস্কার করে ৫ সহস্রাধিক মানুষকে নিশ্চিত প্লাবন থেকে রক্ষা করালেন কক্সবাজারের মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম। রক্ষা পেয়েছে প্রায় সাত’শ একর লবণের মাঠ ও চিংড়িঘের।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৫ মে) দুপুরে সমুদ্রে জোয়ারের পানি মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পায়। এতে ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকায় সংস্কারবিহীন ঝুঁকিপূর্ণ ৩০০মিটার বেড়িবাঁধ উপচে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। বিষয়টি স্থানীয়রা ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমকে অবগত করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মদ মাদু বলেন, জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে পড়ার খবর পেয়েই চেয়ারম্যান ওয়াসিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। সেখানে নিজে উপস্থিত থেকে শ্রমিক ও মাটি কাটার যন্ত্র এনে দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের উপর রিং বাঁধ দেন। তাই লোকালয়ে আর জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারেনি। নয়তো ইউনিয়নের শরতঘোনা, বাজার পাড়া, বহদ্দার পাড়া ও ফুলতলা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ও তাদের ঘরবাড়ি সাগরের পানিতে তলিয়ে যেত।

স্থানীয় বাসিন্দা ইমরান খান বলেন, শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এলাকার মানুষদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। গত তিন বছরে মগনামায় গ্রামীণ অবকাঠামোর অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটেছে। আর বেড়িবাঁধ নিয়ে সাধারণ মানুষের দুঃখ লাঘব হয়েছে।

মগনামা ইউনিয়নের শরত ঘোনা এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দিন বলেন, নিকট অতীতে আমরা মগনামাবাসী বেড়িবাঁধের কারণে অনেক কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু চেয়ারম্যান ওয়াসিমের আন্তরিকতায় এখন আমরা দুশ্চিন্তা মুক্ত। প্রতিটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে তিনি হাজির হয়েছেন আমাদের ত্রাণকর্তা হিসেবে। এর আগেও ঘূর্ণিঝড় আইলা, রোয়ানোর আক্রমণে বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধ তিনি নিজ অর্থায়নে সংস্কার করে মগনামার বাসিন্দাদের সাগরের করাল গ্রাস থেকে রক্ষা করেছেন। নিজে ছুটে গিয়েছেন বিপদসংকুল সাগর পাড়ে। শ্রমিকদের সাথে করেছেন বেড়িবাঁধ সংস্কারকাজ।

এব্যাপারে মগনামা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিম বলেন, মগনামা ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কারে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। কিন্তু কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারের খামখেয়ালিপনা ও অবহেলায় বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে মগনামার বাসিন্দারা। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি বেড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করলে আমি দ্রুত এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিই। এতে এ জোয়ার ঠেকানো গেলেও বর্ষা মৌসুম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে মগনামার মানুষ। তাই বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ সমূহ অতিদ্রুত সংস্কারের দাবী জানাচ্ছি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর