রায়পুরে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ব্যাপক ক্ষতি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফণীর আঘাতে গাছপালা ভেঙে লোকজনের গায়ে পড়ে এ পর্যন্ত আহত হয়েছে অন্তত ৭ জন।

এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে করে যোগাযোগ ব্যবস্থায়ও ত্রুটি দেখা দিয়েছে। উপকূলীয় দক্ষিণ এবং উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের ৪টি সাইক্লোন শেল্টারে ৭ শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে বলে তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে।

সূত্রমতে,ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আঘাতে রায়পুর উপজেলায় আধা-কাঁচা, পাকা প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ছাড়া কৃষকের পাকা সয়াবিন ও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।শুক্রবার (৩ মে) দিনগত রাতে এসব পরিবারের মধ্যে সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী রায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করেছেন।

এ ছাড়া শুক্রবার (৩ মে) আশ্রয় নেয়া কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন ও খোঁজ খবর নিয়েছেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জল চন্দ্র পাল। রায়পুরে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু ছালেহ মিন্টু ফরাজি জানান, টুনুর চর, কানির বগার চর, মিয়ার হাট ও চরলক্ষ্মী গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন। আহতদেরকে বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘূণিঝড় ফণীর প্রভাবে মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলীয় এলাকার ৪টি ইউনিয়ন প্লাাবিত হতে শুরু করেছে। বন্ধ রয়েছে নৌ-চলাচল। থেমে থেমে দফায় দফায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া বয়ে চলেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিল্পী রাণী রায় জানিয়েছেন, শুক্রবার মধ্যরাত থেকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবের কারণে উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ও উত্তর চরবংশী ইউনিয়নসহ মেঘনা উপকূলীয় অঞ্চলের ৭শ’ পরিবারকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে।এ ছাড়া তাদের মাঝে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়েছে। অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৫০ থেকে ২০০টির মতো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর