বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী বর্তমানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। টানা ১৮ দিন হাসপাতালের বিছানায় চোখ-বুজে নিথর পড়ে থাকার পর শুক্রবার চোখ মেলেছেন সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার পর এই প্রথম শিল্পীর শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবর পাওয়া গেল।
গুণী এই শিল্পী আজ শুক্রবার চোখ খুলেছেন। একমাত্র মেয়েকে পাশে পেয়ে তিনি কেঁদেছেনও। ৩ মে, শুক্রবার বিকেলে সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা আমাকে বলেছেন, বাবার জ্বর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ এমআরআই করার কথা রয়েছে। সবাই আমার বাবার জন্য আশির্বাদ করবেন।’
সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। তিনি সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
তিনি বলেন, ‘সুবীরের মস্তিষ্কের কাজ করা নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিলাম। শুনেছি ব্রেন আস্তে আস্তে কাজ করছে। চোখ মেলেছেন। পরিচিতজনদের চিনতে পারছেন। কান্নাকাটি করছেন। তার মানে সুবীরের আবেগ-অনুভূতি কাজ করছে। এটা খুবই ইতিবাচক খবর।’
১৮ দিন রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩০ এপ্রিল সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে। সেদিন বিকেলেই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা শুরু হয়।
গত ১৪ এপ্রিল রাতে পরিবারসহ সিলেট থেকে ফিরছিলেন সুবীর নন্দী। উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তাকে ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে নেয়া হয়েছে।
এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে।