ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে তছনছ ভুবনেশ্বরের এইমস, নিহত ৩

শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবে বড় আকারের ক্ষতি হল ভুবনেশ্বরের এইমস ক্যাম্পাসে। ঝড়ের দাপটে চুরমার হল একাধিক জলের ট্যাংক। তীব্র হাওয়ার ধাক্কায় উড়ে গেল ভবনের ছাদের একাংশ।

শুক্রবার ওডিশায় আছড়ে পড়ার পরে ঘূর্ণিঝড়ে উপড়ে গিয়েছে এইমস চত্বরের একাধিক ল্যাম্পপোস্ট। তবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হলেও নিরাপদে রয়েছেন হাসপাতালের রোগীরা। সুরক্ষিত রয়েছেন ক্যাম্পাসের সব পড়ুয়া এবং হাসপাতালকর্মীরাও।

এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব প্রীতি সুদান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে ভুবনেশ্বরে এইমস ভবনের পরিকাঠামোয় বেশ কিছু ক্ষতি সাধন হয়েছে। সব রোগী, কর্মী ও পড়ুয়া নিরাপদ থাকলেও উড়ে গিয়েছে ক্যাম্পাসের একাধিক জলের ট্যাংক। উপড়ে গিয়েছে একাধিক ল্যাম্পপোস্ট। নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু এয়ার কন্ডিশনারও। তবে পরিস্থিতির মোকাবিলায় আমাদের যথেষ্ট রসদ মজুত আছে।’

ফণীর আঘাতে সাময়িক ভাবে অচল হয়েছে পুরী ও ভুবনেশ্বর জেলার টেলি যোগাযোগ পরিষেবা। এছাড়া, ১-৩ মে পর্যন্ত ১৪৭টি ট্রেন আগেই বাতিল করেছিল রেল মন্ত্রক। এদিন আরও ১০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে।

কলকাতা বিমানবন্দরে উড়ান চলাচলে উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এয়ারপোর্টস অথরিটি। শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় বিমান ওঠানামার ব্যবস্থা। এদিন সেই সময়সীমা সংস্কার করে দাঁড়িয়েছে, শুক্রবার রাত ৯.৩০ টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।

ঘূর্ণিঝড়ের জেরে এ পর্যন্ত তিন জন মারা গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর