বিমানের টিকিটের মূল্য

উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সমন্বয় করতেই সহসাই বাড়তে পারে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে টিকিটের মূল্য। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে বিদেশি এয়ার লাইন্সগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হিমশিম খেতে হবে বলে মনে করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই আকাশ পথে কম খরচে পরিবহন সেবা দিতে দ্রুতই জ্বালানির দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করার দাবি সংশ্লিষ্টদের।

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও হঠাৎ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বিপিসি উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় যা চলতি মাসের ৬ তারিখ থেকে কার্যকর করা হয়। জেট ফুয়েলের নতুন মূল্য তালিকা অনুসারে অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট এয়ারপোর্ট থেকে উড়োজাহাজের জ্বালানির দাম দেশিয় মুদ্রায় প্রতি লিটার কিনতে হবে ৭২ টাকায়। যা আগে ছিলো লিটারে ৬৭ টাকা। আর আন্তর্জাতিক গন্তব্যের উড়োজাহাজের জ্বালানি তেলের দাম পড়বে লিটারে শূন্য দশমিক ৬৮ ডলার যা আগে ছিলো লিটারে শূন্য দশমিক ৬২ ডলার। তাই জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির খরচ সমন্বয় করতে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রুটে টিকেটের দাম বাড়াতে হবে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলোর।

ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আরও চাচ্ছিলাম জ্বালানির দাম কমানো যায় কি না, সে প্রসঙ্গে। না কমে সে জায়গায় সেটা বেড়ে গেছে। জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া মানেই খরচ বেড়ে যাবে। আর সেই খরচটা যাত্রীদের ওপরই গিয়েই পড়বে।’ এদিকে জ্বালানির খরচ বৃদ্ধির ফলে পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাবে জানিয়ে বাংলাদেশ বিমান বলছে এ অবস্থায় টিকেটের মূল্য বৃদ্ধি করা না হলে রাষ্ট্রীয় এ বিমান সংস্থার লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে মনে করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকির মেরাজ।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের যে বড় বড় এয়ারলাইন্সগুলো রয়েছে, তারা যে মূল্যে তেল কেনে তার চেয়ে আমাদের বেশি খরচে তেল কিনতে হয়। তেলের দাম বাড়লেও আমরা টিকিটের দাম বাড়াতে পারি না।’ বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক রুটে এখনও ৭৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে বিদেশি বিভিন্ন বিমান সংস্থা। সেখানে জেট ফুয়েলের আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য না করে উল্টো দাম বাড়ানোর ফলে দেশিয় বিমান সংস্থাগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। এয়ারলাইন্স অপারেটরর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ উপদেষ্টা এটিএম নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের জন্য তেলের দাম, আর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য তেলের যে দাম তার ভেতর অনেক পার্থক্য। অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটের জন্য জ্বালানির দাম বেশি পড়ে। বেসরকারিভাবে যদি তেল আমদানি করা হয় তাহলে একটা প্রতিযোগিতা আসবে।’

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় বাংলাদেশ থেকে গেল বছর দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটে আকাশ পথে ভ্রমণ করেছেন প্রায় ১২ লাখ যাত্রী। যা কয়েক বছর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর