আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা

৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপের ভোট গ্রহণে ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলায় ৩৯টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।নির্বাচন উপলক্ষে কোথাও কোন সংঘর্ষ ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। নির্বাচনকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ছিল কঠোর।যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তারা ছিল প্রস্তুত।আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সোমবার সকাল ৮ টা থেকে একটানা ভোট গ্রহণ চলে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।

এ নির্বাচনে আলফাডাঙ্গা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮২হাজার ৪ শত ৩২জন।এর মধ্যে ভোট জমা পড়েছে ৪৭হাজার ২শত ৫৯টি।মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ৪৬,১৫৬টি ও মোট অবৈধ ভোটের সংখ্যা ১,১০৩ভোট।গড়ে মোট ভোটের ৫৭.৩৩% ভোট কাস্টিং হয়েছে।

উক্ত নির্বাচনে ৩ টি পদে মোট ১৭জন প্রার্থীর মধ্যে ৮জন চেয়ারম্যান পদে, ৪জন ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং ৫ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই ফলাফল বিবরণী ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তী রূপা রায় ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার হাছেনউদ্দীন আহমেদ।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থী হিসেবে কাপ পিরিচ প্রতীকে ১৩হাজার ৬শত ৩০ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস.এম আকরাম হোসেন পেয়েছেন ৯ হাজার ৪শত ৮৮ভোট।স্বতন্ত্র প্রার্থী এ.কে.এম জাহিদুল হাসান (জাহিদ) ৪হাজার ১শত ৪২ভোটের ব্যবধানে নৌকার প্রার্থী এস.এম আকরাম হোসেনকে পরাজিত করেন।

চেয়ারম্যান পদে অপর ৬জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে টেলিফোন প্রতীক নিয়ে মো.ইব্রাহীম মোল্যা পেয়েছে ৭,৩৫৪ভোট,কাজী হারুনার রশিদ (দোয়াত কলম)-৬,৬১৭ ভোট,আব্দুর রহমান জিকো (আনারস) – ৪,০৪৫ ভোট,বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এম এম জালাল উদ্দিন (মোটর সাইকেল) – ৩,৫০১ভোট,আলম খান (হেলিকপ্টার) – ১,০২২ ভোট ও আকরামুজ্জামান শেখ (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে ৪৯৯ ভোট পেয়েছে।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে শেখ দেলোয়ার হোসেন টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ২৪হাজার ২শত ৪৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী খান আমিরুল ইসলাম টিয়া পাখি প্রতীক নিয়ে ১৩হাজার ১৩ভোট পেয়েছে।শেখ দেলোয়ার হোসেন ১১হাজার ২শত ৩৫ভোট বেশী পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী খান আমিরুল ইসলামকে পরাজিত করে।ভাইস চেয়ারম্যান পদে অপর দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস খান (তালা)- ৫,২৩৭ ভোট ও মো. আকবর মিয়া (চশমা) – ২,৬৭৯ ভোট পেয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লায়লা পারভীন ফুটবল প্রতীকে ১৬হাজার ৭৩ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছে।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোসা. বিউটি বেগম প্রজাপতি প্রতীক নিয়ে ১০হাজার ৫ভোট পেয়েছে।লায়লা পারভীন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিউটি বেগমের থেকে ৬,০৬৮ ভোট বেশী পেয়ে জয়লাভ করেছেন।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অপর ৩জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে মোসা. খাদিজা পারভিন (হাঁস) ৭,১৬৬ ভোট,মোছা. সুলতানা রাজিয়া (কলস) ৫৬০৫ ভোট ও বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনোয়ারা ছালাম (পদ্মফুল) ৫,৪১০ ভোট পেয়েছে।

নির্বাচনে কর্তব্যরত প্রিজাইডিং অফিসারসহ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা যায়, “কোনো কেন্দ্রেই কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা কিংবা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি,এমনকি নির্বাচন ১০০% সুষ্ঠু হয়েছে বলে মন্তব্য করেন ভোটারগণ।এমনকি এমন সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলাপূর্ণ নির্বাচন এই প্রথম হলো বলেও জানা যায়, কেননা প্রশাসনের ছিলো সুনজর ও কড়া নিরাপত্তা।উক্ত ভোট দানের মাধ্যমে ভোটারগণ তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বিজয়ী করার মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করে দিল যে, “জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস”।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর