৬০ বছরে দেশে আঘাত হেনেছে ৩৩টি বড় সাইক্লোন

ঘূর্ণিঝড় আবহাওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যা পৃথিবীর তাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৮০টি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়। যার অধিকাংশই মিলিয়ে যায় সমুদ্রে। বাাংলাদেশ গত ৫ দশকে প্রলয়ঙ্করি বেশ কিছু ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে । যাতে প্রাণ গেছে লাখ লাখ মানুষের। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ক্ষয়ক্ষতি হয় ১৯৭০ ও ৯১ সালে। এছাড়া, এক দশক আগে আঘাত হানা আইলা সিডরের ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন উপকলের মানুষ।

ঝড়ের রয়েছে নানা প্রকারভেদ। সমুদ্রের ঝড় সাইক্লোন, হারিকেন ও টাইফুন আর স্থলভাগের ঝড়ের নাম টর্নেডো। সাধারণত ভারত মহাসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় সাইক্লোন, পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ ও মেক্সিকোর আটলান্টিক উপক‚লের হারিকেন এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ঝড়কে বলা হয় টাইফুন।

সরকারি তথ্য অনুসারে, গেল ৬০ বছরে দেশে আঘাত হেনেছে ৩৩টি বড় সাইক্লোন।
দেশে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় সাল গোর্কি বা ভোলা সাইক্লোন ১৩ নভেম্বর, ১৯৭০
১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ২৯ এপ্রিল, ১৯৯১
সিডর ১০ নভেম্বর, ২০০৭
আইলা ২৫ মে, ২০০৯
মহাসেন ১৪ মে, ২০১৩
রুয়ানু ২১ মে,২০১৬
মোরা ৩০ মে, ২০১৮

এরমধ্যে সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড় হয় ১৯৯১ সালে। ঘণ্টায় ২৫০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা এ ঝড়ে, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রাণ হারান প্রায় দেড় লাখ মানুষ। প্রায় ২০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে বাস্তুহারা হয় প্রায় ১কোটি মানুষ।

তবে নিহতের সংখ্যায় ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে ১৯৭০ সালে। ঘন্টায় ১৮৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়ে ভোলা-সহ দেশের দক্ষিণ উপক‚লে। ক্যাটাগরি ৩ মাত্রার এ ঝড়ে বেসরকারি হিসেবে মারা যান অন্তত ৫ লাখ মানুষ। শুধু ভোলার তজুমদ্দিনেই প্রাণ হারায় ৭৭ হাজার।

সাম্প্রতিক ঝড়গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় সিডর ও আইলায়। ২২৩ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় সিডরে সরকারি হিসাবে নিহতের সংখ্যা ৬ হাজার। বসতবাড়ি ধ্বংস হয় সাড়ে ৯ লাখের বেশি। এছাড়া মারা যায় প্রায় আড়াই লাখ গবাদি ও পশু হাস মুরগি। তবে আইলার ক্ষয়ক্ষতি কম। প্রাণ হারান প্রায় ১৯৩ জন। আর বাস্তুচ্যুত হয় ৩ লাখ মানুষ।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর