ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’: পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আতংকে পর্যটকরা কক্সবাজার ভ্রমনে আসেননি এবং যেসব পর্যটক কক্সবাজারে অবস্থান করেছিল, তারাও একদিন আগে থেকে কক্সবাজার ছেড়ে চলে গেছে। সাগরে নামা বা গোসল করার নিষেধাজ্ঞা থাকলে হোটেলে অবস্থান করা কিছু বিদেশীরাও সাগরপাড়ে যায়নি ।

জানা গেছে, পর্যটন মৌসুম ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে কমবেশী পর্যটক অবস্থান করে থাকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি কক্সবাজারে। আর যারা কক্সবাজারে অবস্থান করছিল, তারাও কক্সবাজার ছেড়ে চলে গেছে। এছাড়াও সামনে রোজা থাকায় এমনিতেই কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কমে আসছে। অবশ্য, কিছু কিছু পর্যটক এখনও হোটেলে অবস্থান করছে বলে সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিন খান বলেন, ‘কক্সবাজারে এখন পর্যটক নেই বললেই চলে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতের আশংকায় কক্সবাজার ছেড়েছে পর্যটকরা। তবে কিছু পর্যটক আমার হোটেলে বুকিং দিয়েছে। বুকিং দেয়া পর্যটকরা আমাকে জানিয়েছেন তারা ঘুর্ণিঝড়ের রূপ দেখবে। এছাড়াও সামনে রমজান থাকায় এমনিতে পর্যটক আসা কমে যাচ্ছে’।

কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েসনের সভাপতি এমএ হাসিব বাদল, ‘ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে কক্সবাজারে পর্যটক আসেনি। একইভাবে পর্যটক আসা বন্ধ রয়েছে। একারণে কক্সবাজারের স্থানীয় পর্যটকরা নেই। কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থান গুলোতে শুন্যতা বিরাজ করছে’।

কক্সবাজার ট্যরিস্ট জোনের পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বিকালে কিছু পর্যটক দেখা মিলেছিল। তবে হাতেগোনা কয়েকজন। ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় আমার প্রতিনিয়ত মাইকিং করে যাচ্ছি। যাতে তারা সাগরে না নামেন। তবে অন্যান্য সময়ের তুলনায় পর্যটক নেই। পর্যটক না থাকলেও আমাদের নিরাপত্তা এবং ফণীর বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হচ্ছে’।

কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো: আশরাফুল আফসার জানিয়েছেন, ‘যে সব পর্যটক এখনো কক্সবাজারে অবস্থান করছে তাদের নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত এলাকা ছাড়াও শহরের বিভিন্ন স্থানে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে সতর্ক সংকেত বুঝানো হয়েছে। করা হয়েছে মাইকিং। এছাড়া জেলার উপকূলবর্তী এলাকা সমুহে ইতিমধ্যে সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

ওয়ার্ড ভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থা কমিটি গুলোকে সতর্ক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি উখিয়া ও টেকনাফে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের কথা বিবেচনা করে কক্সবাজার ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে আলাদাভাবে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এজন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর