শিশু ফয়সাল হত্যা: আসামী তোফয়েলের স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি

দোয়ারাবাজারে আলোচিত শিশু ফয়সাল হত্যার সঙ্গে জড়িত মামলার অন্যতম আসামী তোফায়েল আহমেদ ( ১৭) হত্যা কান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বড়খাল গ্রামের কুরবান আলীর ছেলে।

সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজবা উদ্দিনের আদালতে স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এ সময় তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ্এস আই আবু বকর সিদ্দিক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এই আগে হত্যা কান্ডের প্রায় ৪ মাস পর দোয়ারাবাজার থানার এস আই আবু বক্কর সিদ্দিকের কঠোর পরিশ্রমে ২৭ শে এপ্রিল আসামীকে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানা এলাকা থেকে দোয়ারা বাজার থানা পুলিশের সংবাদেও ভিত্তিতে গ্রেপ্তার করে শ্রীপুর থানা পুলিশ।

তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, যেহেতু লাশটি আসামী তোফায়েলের বাড়ির পাশে প্ওায়া যায় সেই সুত্র ধরে আমি তদন্ত করছিলাম প্রায় ২০ দিন গিয়েছি ঘটনাস্থলে, একদিন তোফায়েলের মাকে জিজ্ঞাসা তার কয় সন্তান সে বলে দুই সন্তান এক সন্তানের কথা গোপন রাখে তথন থেকে তোফালে কে গ্রেপ্তার করার জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা অভিযান চালিয়েছি কিন্ত সে আমার সাথে ইদুর খেলা খেলেছে।

সর্বশেষ আটক করে আদালতে ন্ওেয়ার পর সে আদালতে জবানবন্দিতে মুক্তিপন আদায়ের উদ্দেশ্যে শিশু ফয়সাল কে অপহরণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার কথা স্বীকার করে। এই হত্যা কান্ডের সাথে তোফায়েল একাই জড়িত কথা স্বীকার করে। গত ৪ ঠা জানুয়ারী তার ফুফুর বাড়ীর খৎনা অনুষ্ঠান থেকে শিশুকে জলপাই খাওয়ার কথা বলে তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যায়, বাড়িতে নিয়ে মোবা গেইমস খেলতে দেয়, সে খেলতে খেলতে ঘুমিয়ে গেলে বালিশ দিয়ে চাপা দিয়ে হত্যা করে লেপ দিয়ে কুলবালিশ বালিয়ে বিছানায় রেখে দেয়,লাশে গন্ধ বের হলে ৭ ই জানুয়ারী আসামীর বাড়ির পাশে বালু নদীর তীওে লাশ ফেলে দেয়।

আসামী তোফায়েল আরো জানান সে তিন মাস যাবৎ বেকার হাতে টাকা পয়সা নেই তাই কুয়েত প্রবাসী সফিক মিয়ার টাকা পয়সা দেখে দেড় মাস আগে শিশু ফয়সালকে গুম করা পরিকল্পনা করে, মাঝে আরো একদিন তাকে গুম করতে চেয়ে ফয়সালের নানার কারণে গুম করতে পারেনি, টাকা পয়সার লোভে পড়েই শিশু ফয়সালকে হত্যা করে বলেও স্বীকার করেন তোফায়েল।

উল্লেখ্য, যে দোয়ারাবাজার উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের বাংলাবাজার বড়খাল নিজ গ্রাম থেকে ৪ জানুয়ারী শুক্রবার নিখোঁজ হয় শিশু ফয়সাল। তার তিনদিন পর ০৭ জানুয়ারি বিজিবি ক্যাম্পের পাশে বালুনদীর পাড়ে ফয়সালের লাশ পাওয়া যায়। পর দিন ফয়সালে মা মনিরা বেগম বাদী হয়ে দোয়ারাবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর