ছেলের অত্যাচারে মায়ের আত্মহত্যা !

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলায় আপন সন্তানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক হতভাগ্য মা।

নিহত বৃদ্ধার নাম মনোয়ারা বেগম (৫০)। তিনি ঈশ্বরদীর পাকশী ইউনিয়নের চররুপপুর নওদাপাড়া এলাকার আকমল ফকিরের স্ত্রী। সোমবার বিকেলে পাকশীর পদ্মা নদী থেকে মনোয়ারা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, সারা জীবনের পরিশ্রমে অনেক কষ্টে কিছু জমির মালিক হয়েছেন মনোয়ারা-আকমল ফকির দম্পতি। জমি কেনার পর থেকেই ছেলে শামসুল মা- বাবার নিকট হতে সমস্ত সম্পত্তি লিখে নেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। তাঁরা লিখে দিতে রাজী না হওয়ায় শুরু করেন নির্যাতন আর ভৎর্সনা। রবিবার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগম বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। গভীর রাতেই খবর আসে তিনি লালন শাহ সেতুর উপর হতে পদ্মা নদীতে লাফিয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মনোয়ারাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন।

নিহত মনোয়ারা বেগমের মেয়ে জামাই বরিউল ইসলাম জানান রবিবার রাতে লালনশাহ সেতুতে গিয়ে দেখতে পাই, সেতুর রেলিংয়ের সাথে আমার শাশুড়ীর ব্যবহৃত ওড়না বাঁধা রয়েছে। পাশেই পায়ের স্যান্ডেল ও মোবাইল ফোনটি পড়ে আছে। সকাল হতে নদীতে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স সদস্য, স্থানীয় জেলে ও আত্মীয় -স্বজন নদীতে তল্লাশি শুরু করেন। অনেক খোঁজাখোজির পর বিকেলে জেলেদের বড়শিতে গাঁথা মরদেহ উদ্ধার হয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, সোমবার বিকেলে মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের কারণে মনোয়ারা আত্মহত্যা করেছেন বলে শুনেছি। নিহতের ছেলে শামসুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর