সোনাইমুড়ীতে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের অভিযোগ

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার নিলাম হাট আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যার বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ ও ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত বিদ্যালয়ের অডিট কমিটির আহ্বায়ক নুরুল হক মোল্লা সহ ম্যানেজিং কমিটির ৭জন স্বাক্ষরিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ৫ বছর পূর্বে অন্যত্র থেকে জাফর উল্যাহ উপজেলার নিলাম হাট আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেই ব্যাপক অনিয়ম-দূর্ণীতিতে জড়িয়ে পড়েন। বিগত ২০১৬ইং সালে বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায় হিসাব অডিট করার লক্ষ্যে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। অডিট কমিটির আহ্বায়ক নুরুল হক মোল্লা সহ অন্যান্য সদস্যরা কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে দেখেন, ২০১৬ সালের আয়-ব্যায়ের ব্যাপক অনিয়ম রয়েছে। তৎকালীন স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কুতুব উদ্দিন সানির স্বাক্ষর নিয়ে প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যা ও স্কুলের ইসলামী ব্যাংক সোনাইমুড়ী শাখার হিসাব নং থেকে ৩ লক্ষ টাকা চেকে স্বাক্ষর করে উত্তোলন করে আত্নসাৎ করেন।

পরে অডিট কমিটি শিক্ষক জাফর উল্যার অর্থ আত্নসাতের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পালের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি অভিযোগটি তদন্ত করতে উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসারকে আহবায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটি ইতি পূর্বে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

নিলাম হাট আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের অডিট কমিটির আহ্বায়ক নুরুল হক মোল্লা জানান, প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যা একজন দূণীতিবাজ। সে স্কুলের টাকা আত্নসাৎ করেছেন। অডিট করে তা প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি দামাচাপা দিতে শিক্ষক জাফর উল্যা তার সিন্ডিকেটের অভিভাবক ও শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে আরেকটি কমিটি করে তাদেরকে দিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন তৈরি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন।

অডিট কমিটির সদস্য শিক্ষক এনাম জানান, ২০১৬ সালের অডিটে প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যার ৩ লক্ষ টাকা আত্নসাতের প্রমাণ পেয়েছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যার অভিযোগের তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মোস্তফা হোসেন জানান, ইউএনওর নির্দেশে অভিযোগ তদন্ত করেছেন। তবে তিনি তদন্তের বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি না হয়ে এড়িয়ে যান।

নিলাম হাট আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর উল্যার বক্তব্য নিতে তার মুঠো ফোনে কল দিলে তিনি উক্ত অভিযোগের সত্যতা স্বীকার না করে বলেন, একটি অডিট কমিটি তার বিরুদ্ধে উপজেলায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন। তা সত্য নয়। তবে আপনারা সাংবাদিকরা একটু থামুন, আমি ট্রেনিংয়ে আছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার টিনা পালের বক্তব্য নিতে তার মুঠো ফোনে একাধিক বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর