আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে সেতু হত্যার মূল প্ররোচনাকারি

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে মেধাবী ছাত্রী সেতু মন্ডল (১৫) এর অপহরন, ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্রয়োচনা কারী মূল আসামী সজল (২৭)কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করেছে পুলিশ।

গত শনিবার ভোরে উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে এস আই হাসান আক্তার তাকে গ্রেফতার করেন। শনিবার রাতেই তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়। সজল বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেরার উনানিয়া গ্রামের আঃ মজিদ সরদারের ছেলে। হযরত আলী ওরফে সজল বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় সেতু মন্ডলের অপহরন,ধর্ষন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলে যাওয়ার আগে হযরত আলীর সাথে কয়েক বার ফোনে কথা হয়। পরে গোয়ালখালী এলাকা থেকে তুলে নিয়ে শাখারী বাজার এলাকায় যায় । পরে একটি মন্দিরে গিয়ে সজলের ডান হাতের বৃদ্ধাআঙ্গুল কেটে সেতুর কপালে শিদুর পরিয়ে দেয় এবং তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। এ ছাড়া তাকে অনেক রকম প্রতিশ্রুতিও দেয়।

পরে লঞ্চের কেবিন নিয়ে সজলের গ্রামের বাড়ির দিকে যায়। লঞ্চের সেই রাতে সেতুকে কয়েক দফা ধর্ষন করে এবং বরিশাল পৌছানোর পর আবার পুনরায় ভোর রাতে ঢাকা চলে আসে। পরের দিন ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি ফেলে পালিয়ে যায় সজল। গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সেতুকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকে সেতুকে নিয়ে আসেন আসেন তার পরিবার।

১৭ এপ্রিল গলায় ফাস দিয়ে আতœহত্যার করার সময় স্বজনরা দেখে তাকে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায়। তিনি আরো বলেন, সেতুর মা প্রধান আসামী হিসেবে সোহেলের নাম বলেছিল কারন তাকেই ভেবেছিল তার নাম সজল।

কিন্তু পরে তা ভুল প্রমানিত হয়ে হযরত আলী ওরফে সজল আদালতে তার দোষ স্বীকার করে। হযরত আলি নাম পাল্টিয়ে সজল রাখে সেতু এবং তার মায়ের কাছে সেতু এই নামটিই বলছিল।

বার্তা বাজার .কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এই বিভাগের আরো খবর